পিবিএ ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ময়েশ্চার হারিয়ে ফেলে। তাই ত্বক এলাস্টিসিটি হারায় এবং ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। এ বলিরেখার ফলে সৌন্দর্যহানি ঘটে অনেকটাই। আসুন জেনে নিই বলিরেখা নির্মূলে করণীয় বিষয়গুলো—
মাছ খান
খাদ্যতালিকায় মাছ রাখুন। এতে আপনার সমস্যা অতি সহজেই কমে যাবে। কারণ মাছে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকে পুষ্টি জোগায়।
বিশ্রাম
দুশ্চিন্তার ফলেও বলিরেখা পড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। দিনে অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমান। কারণ ঘুমের ফলে নতুন কোষ জন্মায় ও বডি ইলাস্টিক পুনর্গঠিত হয়।
প্রয়োজন আরো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের সজীব রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন কমে যায়। ফলে ত্বকের চাই আরো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খান। এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
ভেষজ মাস্ক ব্যবহার করুন
ত্বকের উপযোগী ভেষজ মাস্ক লাগান। বিভিন্ন ফল যেমন আঙ্গুর, কলা ও পেঁপে লাগাতে পারেন। আঙ্গুরের রস বলিরেখা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
অ্যাভোকাডো ও গোলাপের পাপড়ি
বলিরেখা দূর করতে অ্যাভোকাডো ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে মাস্ক তৈরি করে লাগান। এতে পাকা অ্যাভোকাডো ও গোলাপের পাপড়ি ব্লেন্ড করে তাতে রোজ অয়েল মিশিয়ে লাগাতে পারেন। ১০ মিনিট রেখে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
ওটমিল ও নারকেল তেল
ঈষৎ গরম দুধে ওটমিল ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে ব্লেন্ড করে তাতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে লাগান। ৮-১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা ও অ্যাভোকাডো অয়েল
এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ অ্যাভোকাডো অয়েল মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজিং
বলিরেখা রোধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ময়েশ্চারাইজিংয়ের ক্ষেত্রে।
ভিটামিন ই ও পানি
পানি ত্বককে সতেজ রাখে ও ভিটামিন ই ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, ফল ও ফলের রস, শাকসবজি এবং মাছ খান। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখুন দীর্ঘদিন।
পিবিএ/এফএস