ঘুম না আসলে যা করবেন

sleep-PBA

পিবিএ,ডেস্ক: দিন কাজ শেষে রাতে শান্তিময় ঘুম সবাই চান। পরিপূর্ণ ঘুম পরদিন কাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নানা কারণে সেই ঘুম যদি না হয় তবে পরের দিনটাই মাটি করে দিতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে মনের উপর তো প্রভাব পড়েই, শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। তাই প্রতিটি মানুষের জন্য ঘুমের গুরুত্ব অনেক।

জেনে নেয়া যাক ঘুম না আসলেও কোন কৌশল ব্যবহার করবেন:-

১. কোনো কারণে রাত জাগতে হলেও বেশিদিন অভ্যাসটি রাখবেন না। বেশিদিন না ঘুমিয়ে কাটালে রাত জাগার অভ্যাস তৈরি হবে। তাই রাতে যখনই ক্লান্তিবোধ করবেন তখনই ঘুমুতে যান।

২. চা বা কফিতে ক্যাফেইনের প্রভাব থাকে। তাই দুপুরের পর চা বা কফি পান করার অভ্যেস ত্যাগ করুন। অবশ্য সন্ধ্যাবেলা গরম কোনো পানীয় প্রয়োজনবোধ করলে দুধ খেতে পারেন।

৩. বেশি রাতে ভারী খাবার খাবেন না। ঘুমাতে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগেই নৈশভোজটা সেরে ফেলুন।

৪. অনেকে রাতে ঘুম না হলে দিনে তা পুষিয়ে নিতে চান। কিন্তু এরফলে পরদিন রাতেও ঘুম আসতে দেরি হতে পারে। নিয়মিত এমনটি ঘটলে তা অভ্যাসেই দাঁড়িয়ে যাবে। তাই ঘুমের সময়টি ঠিক রাখুন।

৫. এমন সমস্যায় অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু এরফলে পরবর্তীতে ঘুমের জন্য ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়। তাই একান্ত প্রয়োজন না হলে ঘুমের ওষুধ খাবেন না।

৬. জীবনে নানা বিষয়ে দুশ্চিন্তা থাকবেই। তাই বলে শোবার পরও এসব চিন্তা মাথায় না আনাই উত্তম। মনকে শান্ত রাখলে দেখবেন ঘুমও আসবে সহজেই।

৭. ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এমন কোনো স্থানে শোবেন না। যতটা সম্ভব আওয়াজ পরিহার করে ঘুমাতে চেষ্টা করুন।

৮. শান্তিময় ঘুমের জন্য বালিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাথার বালিশটি যেমন খুব শক্ত হওয়া উচিত নয় তেমনই খুব বেশি নরম হলেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

৯. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খুব বেশি পানি পান করবেন না।

১০. ঘুমের সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে মনে হলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ঘুম না আসার কারণ সম্পর্কে ডাক্তারকে জানান। তাহলে ডাক্তার বুঝতে পারবেন আপনার অনিদ্রার কারণ কি শারীরিক নাকি মানসিক।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...