ঘূর্নিঝড় দানা: এহন আমার ঠাঁই নেওয়ার মতো কোনো জায়গা নাই

উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): ‘আমি বাড়ির উডানেই আছেলাম। হুনি শোঁ শোঁ শব্দ। এর মধ্যেই আমার ঘরড্যা ভাইংগ্যা গ্যাছে। এহন আমার ঠাঁই নেওয়ার মতো কোনো জায়গা নাই’। এমনটাই বলছিলেন সাগরপাড়ের তাহেরপুর গ্রামে বিধবা নারী মহিমা আক্তার। ঘূর্নিঝড় দানা ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করলেও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে। উপকূলীয় এলাকায় রেখে গেছে ক্ষত চিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কিছু বসতঘর। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। কৃষি খাতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘূর্নিঝড় দানা’র তান্ডবে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গইয়তলা গ্রামের বেড়িবাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে কলাপাড়ায় শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস বইছিলো। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে হঠাৎ সাগরপাড়ের তাহেরপুর গ্রামে মো. বেল্লাল হাওলাদার, রুবেল পাহলান, বাবুল সরদার, জাহিদুল ইসলাম, আবু তালেব, নজির সরদার ও বিধবা নারী মহিমা আক্তারের বসত ঘর তছনছ করে দেয়। কোনো ঘরের চাল, আবার কোনো ঘরের বেড়া উড়িয়ে নিয়ে গেছে। আবার কোনো ঘরের ওপর গাছ পড়ে ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তুহিন খান বলেন, তাঁর নিজের অন্তত ৩০টি রেইনট্রি, চাম্বল গাছসহ গ্রামের শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে। এ ছাড়া অনেক বাড়ির বিদ্যুৎ লাইনের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুতের মিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তাদের গ্রামে এমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

কলাপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণসহায়তা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন...