চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় দুইজনকে শনাক্ত করেছে হাটহাজারী থানা-পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি এবং দেখেছি। এখন পর্যন্ত দুজনকে শনাক্ত করা গেছে। এই ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। তাদের সবাইকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। কিছু সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা রয়েছে।
এদিকে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার বিচারের দাবি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী, শাখা ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষককও অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বেলা ১১টায় ক্লাস বর্জন করে প্রথমে বিজ্ঞান অনুষদ ও পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা শহীদ মিনার প্রাঙণে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একত্রিত হন।
এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রীরা। এ সময় চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার শর্তে আন্দোলন থেকে সরে আসেন ছাত্রীরা।
গত রোববার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল সংলগ্ন এলাকায় ৫ জন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকেও মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
যৌন নিপীড়নের এ ঘটনার জেরে ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ব্যাপারে সময়সীমা বেধে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়।