চবিতে দ্বিতীয় দিনেও চলছে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের বিক্ষোভ চলছে। এতে আজও ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো শিক্ষক বাস ও শাটল ট্রেন।

মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা।

বিজয় গ্রুপের নেতা নয়ন চন্দ্র মোদক ঢাকা পোস্টকে বলেন, অছাত্র, বিবাহিত এবং পদবাণিজ্যে ভরপুর এই কমিটি। স্বজনপ্রীতি যেখানে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। আমরা চাই ঐতিহ্যের সংগঠন এভাবে যেন কারও একক স্বার্থে ব্যবহার না হয়। পাঁচ দফা দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত আদায় না হবে, অবরোধ চলবে।

এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দেন বিজয় গ্রুপের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- মো. ইলিয়াসকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা, পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিতকরণ, সব অছাত্র, শিবির, বিএনপি-জামায়াত ও বিবাহিত কর্মীদের ঘোষিত কমিটি থেকে বাদ দেওয়া, ৫০ জন ত্যাগী, মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে আজকের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রদান এবং পদবিতে সিনিয়র-জুনিয়র ক্রমিক ঠিক করা।

এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ১১৮ জনকে। এছাড়া ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও অন্যান্য পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরও ২৬৩ জনকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ২১ জনকে।

কমিটি ঘোষণার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। প্রধান ফটকে তালা দিয়ে দিনভর অবস্থান নেন তারা। এরপর বিকেলে ৫ দফা দাবি ঘোষণা করে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন...