পিবিএ ডেস্ক: আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এখন ভোট গণনার কাজ চলছে। আর ভোট গণনা শেষ হলেই জানা যাবে কে বিজয়ী হচ্ছেন এবারের নির্বাচনে। ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৮৬ শতাংশ। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ৪৪৯ জন। নির্বাচন কমিশনের সূত্রমতে, ভোট দিয়েছেন ৩৮৬ জন। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে ভোট শুরু হয়ে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটি পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। যদিও ভোটগ্রহণের সময় পাঁচটা পর্যন্ত ছিল তবে পরে তা বাড়ানো হয়।
কে জিতবে, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। এফডিসির প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ জনতারও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল করে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমী স্বতন্ত্র হিসেবে সভাপতি পদে লড়ছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী খলনায়ক মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস কোবরা, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে সবার আশা, নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মিশা-মৌসুমীর।
এদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা অভিনন্দনে ভাসছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।নির্বাচনে তিনি চিত্রনায়ক জায়েদ খান-মিশা সওদাগর প্যানেলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মৌসুমীর জয়ের পাল্লাই ভারি। ভোটাররা তার দিকেই এখন ঝুকে আছে। অপরদিকে মিশার ভাগে যথেষ্ট পরিমান ভোটার পেপার পড়েনি বলেও একটুকরো খবর নিশ্চিত করেছেন একটি সূত্র। অধিকাংশ ভোটার মিশা-জায়েদ প্যানেলের জয়ের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না।
সূত্রের বরাত অনুযায়ী এ নির্বাচনে যদি নায়িকা মৌসুমী জয়ী হয় তাহলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ইতিহাসে এটি হবে প্রথম নারী সভাপতি হওয়ার ইতিহাস।
পিবিএ/বিএইচ