ইবিতে চলছে ভর্তি পরীক্ষা অথচ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহাল দশা

নাজমুল হুসাইন,ইবি (কুষ্টিয়া): আগামী ১৩ আগস্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জিএসটি গুচ্ছভূক্ত সমন্বিত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহাল দশা পরিলক্ষিত হয়। যা ভর্তি পরীক্ষায় আগত সকল শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, সাদ্দাম হোসেন হলের সামনে সড়কটি অর্থাৎ জিয়া মোড় এলাকায় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে দূষণের পরিমাণ। ড্রেনেজ গুলো ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ। পর্যাপ্ত বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের ভেতর গড়ে উঠেছে আবর্জনার স্তূপ।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল ফটকের পাশে, লালন শাহ হলের পকেট গেট, টিএসসিসি আশপাশে, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে, মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের পিছনে, শহীদ মিনার চত্বর, স্মৃতিসৌধ চত্বর, ঝাল চত্বর, রবীন্দ্র- নজরুল ভবনের আশপাশে, অনুষদ ভবনের পিছনে, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় মসজিদের আশপাশ, সাদ্দাম হোসেন হলের পিছনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন এলাকায়, জিয়া মোড়সহ আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় গড়ে উঠেছে ময়লার স্তূপ। এসব জায়গার মধ্যে শুধু দু-এক জায়গায় একটি করে ডাস্টবিন রয়েছে। যেটি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক ছোট। ফলে ডাস্টবিনের পাশেই ফেলা হচ্ছে ময়লা। এভাবে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বর ও জিয়া মোড় এলাকায় অনেক দোকান থাকলেও সেখানে নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। খাবারের উচ্ছিষ্ট যেখানে সেখানে ফেলার কারণে যেমন ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

ক্যাম্পাসে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ না হওয়ায় তা পরিণত হচ্ছে মশার প্রজননকেন্দ্রে। এ ছাড়া ড্রেনেজ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, দূষিত হচ্ছে বাতাস। ফলে নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ। এমতাবস্থায় নতুন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের আগমন, তাদের স্বাস্থ্য বা মানসিক ভাবে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

সাদ্দাম হোসেন হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে এত ময়লা আবর্জনার কারণে জিয়া মোড়ে যেতে ভয় লাগে। মাঝে মাঝে এত দুর্গন্ধ ছড়ায়। যা সহ্য করার মত নয়। এই পরিবেশ দূষণ রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার উপ রেজিস্ট্রার মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত জনবল সংকটের কারণে এই সমস্যাগুলো সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানোর পরও তাদের থেকে তেমন সহযোগিতা পায় নি। তবে যে বিষয়গুলো আমরা জেনেছি সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

আরও পড়ুন...