পিবিএ ডেস্ক : চলন্ত বাসে সহযাত্রী নারীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তিন যুবককে। গতকাল শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার প্রগতি ময়দান এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টা নাগাদ প্রগতি ময়দান থানা এলাকা ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে বি আর অম্বেডকর ব্রিজের উপর নাকা চেকিং করছিল পুলিশ। সেই সময় বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আসা একটি বেসরকারি বাস ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎই বাস থেকে এক নারীর চিৎকারের আওয়াজ পায় পুলিশ। সঙ্গে কয়েকজন যুবকের কথাকাটাকাটির আওয়াজও পান তারা। এ সময় ওই নারী সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। পুলিশের দাবি, সঙ্গে সঙ্গে তারা বাসটিকে দাঁড় করিয়ে বাসে ওঠেন। সেখানে দেখেন বাসের সামনের দিকে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে এক নারীর কথাকাটাকাটির হচ্ছে। ওই নারীর উদ্দেশে কটূক্তি করছে ওই তিন যুবক।
পুলিশ দেখে ওই যুবকরা পালানোর চেষ্টা করলে তিনজনকে আটক করা হয়। নারীকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগণার মালঞ্চর বাসিন্দা তিনি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মালঞ্চ থেকে হাওড়াগামী একটি বাসে ওঠেন।
নারীর অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরেই ঘটকপুকুর থেকে ওই একই বাসে ওঠেন তিন যুবক। তারা বাসে ওঠা থেকেই নারীকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করছিল বলে অভিযোগ। প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবকদের অসভ্যতা বাড়তে থাকে। তারা নারীকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করতে শুরু করে এমনকি তার গায়ে হাতও দেয়। ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, ততক্ষণে বাসে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছিল। বাসের চালক এবং কন্ডাকটর সব দেখেও চুপ করে ছিলেন। তখন নিরুপায় হয়ে তিনি বাধা দেন ওই যুবকদের। শুরু হয়ে যায় কথাকাটাকাটি। অভিযোগ, বাধা দিলে নারীকে পাল্টা হুমকি দিতে শুরু করে ওই যুবকরা। তার আগে নারীর ফোন নাম্বার চেয়ে উত্যক্ত করছিল ওই যুবকরা।
পুলিশ তিন যুবককেই গ্রেফতার করেছে। জেরা করে জানা গেছে আটককৃত শেখ পারভেজ, শেখ মুজিবর এবং শেখ আফতাব তিনজনেই ঘটকপুকুর এলাকায় একটি চামড়া প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করে। ওই নারী ওই বাসে প্রায়ই যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই তিনজন নারীকে টার্গেট করেছিল। ওই দিন বাস ফাঁকা থাকার সুযোগ তারা কাজে লাগায়। তিনজনকে আজ রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
পিবিএ/জিজি