পিবিএ,চাঁদপুর: চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এর বাসভবেন গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্র জজ এর বেড রুমের জানালা দিয়ে মশারি কেটে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই সময় পাশের বাসা থেকে চুরি হয় একটি মোবাইল ও ল্যাপটপ।
রবিবার (৭ জুলাই) ভোর রাতে শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কে জেলা জজ এর বাসভবেন এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, জেলা জজ এর বাসভবনের চারপাশের দেয়ালে কয়েক স্থানে ভাঙা। খুব সহজেই চোর চক্র চুরি করার সুযোগ রয়েছে। জেলার বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যাক্তির বাসায় যদি এমন নিরাপত্তাহীনতা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা দাঁড়াবে কোথায়।
জেলা জজ আদালতের কর্মচারীরা জানান, জেলা জজ এর বাসায় দায়িত্ব পালন করেন ৪ জন পুলিশ সদস্যা। কিন্তু তারা রুটিন অনুযায়ী একই স্থানে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেন। যদি তারা ভবনের চার পাশে নজর দেন এবং হাটাহাটি করেন তাহলে চোর চক্র এই ধরনের সাহস পায় না।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোন মাদকাসক্ত চোর কিংবা পেশাগত মোবাইল চোর এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ তারা শুধু মোবাইলটিই চুরি করেছে। আমরা এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন বলেন, চোর চক্র যে ঘটনা ঘটিয়েছে। তার চাইতে বড় ধরনের দূর্ঘটনাও ঘটতে পারত। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। কারণ জানালার ফাঁকে অস্ত্র দিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটানো সম্ভব। শুধুমাত্র আমার স্ত্রীর মোবাইল চুরি হয়েছে। যদি আমার মোবাইল কিংবা অন্য জরুরি জিনিসপত্র চুরি হত, তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তাম।
জেলা জজ আরো জানান, আমার বাসভবনের চারদিকে যে দেয়াল রয়েছে, তা খুবই নীচু। আমি বাসভবনসহ দেয়ালের সংস্কার কাজ করার জন্য প্লান পাস করিয়ে চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার জানিয়েছি, কথা বলেছি। তারা এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। সিসিটিভি ক্যামেরার চাহিদা দেয়া হয়েছে, সেটাও করেননি গণপূর্ত বিভাগ।
পিবিএ/আজাদ/হক