পিবিএ, চাঁদপুর: চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ২১ জেলেকে আটক করার পর ২০ জেলেকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১জনকে ৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এ ছাড়াও একই দিন আরেকটি অভিযানে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন এলাকার টিলাবাড়ি জেলেপাড়ায় চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে ২৪টি ঘর থেকে প্রায় ৯ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ২৪টি ঘরের মালিকের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে।
বুধবার ২৭ মার্চ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেঘনা নদীর টিলাবাড়ী এলাকায় ব্লক রেইড দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওলিদুজ্জামান পিবিএ’কে জানান, আটক ২১ জনের ২০ জনকে ১ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বাকি ১ জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আটককৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুল হোসেন পিবিএ’কে জানান, নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে ২১ জেলেকে আমরা আটক করি। তারা হলেন, আনোয়ার হোসেন (৪২), কামাল (২৬), দুলাল হোসেন (৪৫), মোক্তার হোসেন (৪৫), কিবরীয়া (৬২), হারুন রশিদ (৪২), আব্দুল (৩৫), মো হান্নান বেপারী (৫০), সাদেক বেপারী (৪৫), আব্দুল আলী (৫০), নবী হোসেন (২৮), আব্দুল মতিন (৫০), আবুল কালাম (৫০), মমতাজ উদ্দিন (৫০), মহিন উদ্দিন (৩২), শাহ আলী (৩৩), আব্দুল ছাত্তার (৩৫), শুক্কুর আলী (২২), আল মমিন (৩০), ইসহাক মিয়া (৩৫)।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পিবিএ’কে জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানান, জাটকা রক্ষায় তারা যৌথভাবে গত কদিন ধরে টিলাবাড়ি এলাকার জেলে পল্লীতে নজরদারি রাখছিলেন। এ এলাকার কারা নদীতে জাটকা নিধন করছে তা চিহ্নিত করে ব্লকরেইড দেয়া হয়েছে। আমরা এ এলাকার প্রতিটি জেলেঘরে এ ব্লকরেইড দিয়েছি। এতে প্রায় ৯ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছি। যার আনুমানিক মূল্য হবে ১কোট ৮০ লাখ টাকা। যেসব ঘর থেকে কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে সেই ২৪টি ঘরের মালিকের বিরুদ্ধে আমরা মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছি। জব্দকৃত কারেন্ট জাল থানা হেফাজতে রয়েছে।
অভিযুক্ত ঘরের মালিকরা হলেন : আলী হোসেন বেপারী, জাকির মোল্লা, আব্দুল হাকিম, আলী আজম, আল-আমিন, রহিম, জাহাঙ্গীর, মাইনুদ্দিন, কামরুল, মোঃ রফিক, পারভেজ, সুমন, মোঃ তাজল ইসলাম, নূরে আলম, সোহেল হোসেন, আব্দুস সাত্তার, আবু হানিফ, রবিন, হানিফা, টিটু, হাসান আলী,জব্বার,ছানোয়ার ও রফিকুল ইসলাম।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আলম মৃধা, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন, মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আব্দুর রব, মতলব দক্ষিণ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার, চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক যায়ের, সৈকত দাস গুপ্ত, সহকারী উপ-পরিদর্শক বশির উদ্দিন, কোস্টগার্ড স্টেশন ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আব্দুল মালেক, পৌর কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ, শাহআলম বেপারীসহ পুলিশ সদস্যগণ।
এ ছাড়াও মেঘনার দূর্ঘম চরে নতুন করে খাল কেটে, সেই খালের ভেতরে গোপনে ছোট ছোট ইলিশ টেম্পু ইলিশ (ঝাঁটকা) ধরার অপরাধে ২০/৩০ নৌকা ও মাছ কেনার আড়ত গুলো আগুনে পুঁড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
পিবিএ/এমএ/হক