চাঁদপুরে সরকারি হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগ বন্ধ : ভোগান্তি

পিবিএ, চাঁদপুর : রেডিওলোজিস্ট সনোগ্রাফী চিকিৎসক না থাকায় প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আল্টাসনোগ্রাম বিভাগটি। এ কারনে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরকারি নিদিষ্ট খরছে জেলা হাসপাতালে আল্টাসনোগ্রাম করাতে না পেরে অধিক খরছ দিয়েই বাধ্যতামুলক বাহিরের প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক গুলোতে আল্টাসনোগ্রাম করাচ্ছেন রোগীরা। এর জন্যও রোগীদের ওই পরীক্ষাটি করাতে হাসপাতাল থেকে অন্য স্থানে আসা যাওয়ায় অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই বিভাগটিতে রেডিওলজিস্ট ও কনসালটেন্ট পদে দু’জন চিকিৎসক কর্মরত ছিলো। এর পূর্বে এ বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন ডাঃ সফিকুল ইসলাম। তিনি পদোন্নতি পেয়ে এখান চলে যাবার পর তার স্থলে দায়িত্ব গ্রহন করেন ডাঃ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পাটওয়ারী। এতোদিন তিনি দায়িত্ব পালনের পর গত ২০ জুন তিনিও পদোন্নতি পেয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তার পর থেকে হাসপাতালের নিচ তলায় অবস্থিত আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
বিভিন্ন রোগের রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতালে এসে অল্প খরচে যে সেবা পেতো জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীরা । এখন এ বিভাগটি বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে ধর্ষণ মামলার অনেক রোগী। কারন দেখা গেছে যে চাঁদপুরের বিভিন্নস্থান থেকে আসা ধর্ষনের শিকার অনেক ছোট বড় রোগী তাদের মেডিকেল রির্পোটের বয়স নির্ধারনজন্য এই সরকারি হাসপাতালটিতে এসে তাদের রির্পোট নিতো। কিন্তু আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটি বন্ধ থাকায় তাদেরকে ধর্ষনের সেই মেডিকেল রিপোর্টের জন্য কুমিল্লা জেলায় যেতে হচ্ছে। এ জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। শুধু আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটিই নয় বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকটের কারনে হাসপাতালের আরো বেশ কিছু পদশূন্য রয়েছে।
যার জন্যে আরো অনেক চিকিৎসাসেবা থেবে বি ত রোগীরা।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল আজিম জানান, গত ২০ জুন আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা রেডিওলোজিস্ট সনোগ্রাফী বিশেষজ্ঞ ডাঃ সালাউদ্দি পাটওয়ারী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন। তিনি বিদায় নেবার পর পরই আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে পত্র প্রদান করেছি। কর্তপক্ষ এ পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় এখনো পর্যন্ত এ বিভাগটি বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ ছাড়াও সরকারি আরো বেশ ক,টি পদ শূন্য রয়েছে। এ কারনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তপক্ষকে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

পিবিএ/মিজানুর রহমান/বাখ

আরও পড়ুন...