পিবিএ,চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্বামী, ভাশুর ও শাশুরির হাতে দগ্ধ গৃহবধূ দীপিকা রানী আচার্য চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বার্ন ইউনিটে আইসিইউ’তে তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, আইসিইউতে সন্ধ্যায় দীপিকার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো। তার মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে, গৃহবধুকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্বামী, ভাসুর ও শাশুড়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুর বড় ভাই অরবিন্দ আশ্চার্য্য।
হাজীগঞ্জ থানার মামলার সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের বকুলতলা রোডের রঞ্জিত আশ্চার্যের ছেলে বিপুল আশ্চার্য্য ও তার বড় ভাই সজল আশ্চার্য্য গত ৩০ এপ্রিল গভীর রাতে বিপুল আশ্চার্যের স্ত্রী দিপিকা আশ্চার্যের(মনিকা) শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
বিষয়টিকে দূর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে রাতেই দিপিকাকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখান থেকে ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটি ভর্তি করা হয়। দিপিকার শরীরের ৯২ শতাংসই পুড়ে গেছে বলে জানান দিপিকার বড় ভাই অরবিন্দ আশ্চার্য্য। মোবাইল ফোনে বোনের দূর্ঘটনার খবর শুনে দিপিকার বড় ভাই অরবিন্দ আশ্চার্য ঢাকা মেডিকেল বার্ণ ইউনিটে তার বোনকে দেখতে গেলে ভাইকে দিপিকা জানান, তাকে মারধর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার করা হয়। এর পরই তার ভাই বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।
পিবিএ/এএইচ