পিবিএ ডেস্ক: শনিবার চাঁদের মাটিতে পুরোপুরি রাত নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে কমতে নেমে এসেছে শূন্য ডিগ্রির প্রায় ২০০ সেলসিয়াস নিচে। আগামী ১৪ দিন চাঁদের মাটিতে এই কনকনে ঠাণ্ডার রাতই থাকবে। টানা ২ সপ্তাহ এত শীতল পরিবেশে টিকে থাকা বিক্রমের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই, ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে আর যোগাযোগ সম্ভব নয় বলে মনে করো হচ্ছে। এদিকে, ইসরো জানিয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের আয়ুই ছিল ১৪ দিন। যা আজই শেষ হচ্ছে। আজ থেকেই চাঁদের মাটিতে নামছে রাত।
নাসার অরবিটার চাঁদের মাটিতে বিক্রমের ছবি তুলতে না পারার পরই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের আর কোনও আশা নেই। এবার সেই আশঙ্কাতেই একপ্রকার শিলমোহর পড়ে গেল। চাঁদের মাটিতে নেমে এসেছে শীতল রাতের অন্ধকার। রাত নেমে যাওয়ার পর বিক্রমের সঙ্গে আর যোগাযোগ সম্ভব নয়, সেকথা আগেই জানানো হয়েছিল ইসরোর পক্ষ থেকে।
ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের আয়ুই ছিল ১৪ দিন। যা আজই শেষ হচ্ছে। আজ থেকেই চাঁদের মাটিতে নামছে রাত। চাঁদের মাটিতে দিনের আর রাতের তাপমাত্রার আকাশ-পাতাল ফারাক। দিনের বেলায় যেখানে তাপমাত্রা ১৮৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত সেখানে রাতের তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বিক্রমের যন্ত্রাংশের এই বেশি তাপমাত্রায় খোলার কথা ছিল। দিনের বেলায় চাঁদের তাপমাত্রা বেশি থাকায় সক্রিয় হয়ে ওঠার কথা ছিল বিক্রমের। কিন্তু, ল্যান্ডিংয়ের সময় বিক্রমের ব়াডার ভেঙে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এবার রাতে তাপমাত্রার অধঃপতনের ফলে সেই সম্ভাবনা আর একেবারেই রইল না।
চাঁদের মাটিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সফট ল্যান্ডিং হওয়ার কথা ছিল বিক্রমের। কিন্তু, সফট ল্যান্ডিংয়ের সময় শেষ মুহূর্তে ইসরোর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বিক্রম। তাঁর সঙ্গে আর কোনো রকমভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। পরে চন্দ্রযানের অরবিটারের মাধ্যমে তাঁর থার্মাল ইমেজ পাওয়া যায়।
জানা যায়, নির্ধারিত লক্ষ্যের মাত্র ৫০০ মিটার দূরে হার্ড ল্যান্ডিং হয়েছে বিক্রমের। তারপর থেকেই ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরো। কিন্তু, কোনোভাবেই যোগাযোগ সাধন সম্ভব হয়নি। শনিবার ল্যান্ডার বিক্রমের আয়ু শেষ হচ্ছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
পিবিএ/বাখ