চাঁদে বিধ্বস্ত ইসরায়েলের মহাকাশযান

পিবিএ ডেস্ক: চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হলো ইসরায়েল। চাঁদের পৃষ্ঠে বিধ্বস্ত হলো তাদের মহাকাশযান।মূল ইঞ্জিন অকার্যকর হয়ে পড়ায় অবতরণের আগমুহুর্তে মহাকাশযানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেরেশিট নামে ওই মহাকাশযানটি চাঁদে অবতরণের চেষ্টা চালাতে গিয়ে ইঞ্জিনের কারিগরি সমস্যার কারণে চাঁদের পৃষ্ঠেই বিধ্বস্ত হয়।

চাঁদের বিভিন্ন ছবি তোলা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোই ছিল এই মহাকাশযান পাঠানোর মিশন। কিন্তু সেই মিশন পূরণ হলো না ইসরায়েলের।

সাত সপ্তাহ যাত্রা শেষে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ কিলোমিটারে শেষ কক্ষপথে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়েছিল মহাকাশযানটি।

এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরই কমান্ড সেন্টারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েল এয়ারস্পেস ইন্ডাস্ট্রির স্পেস বিভাগের ম্যানেজার অফের ডরন বলেন, ‘আমরা মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা চালাতে ব্যর্থ হয়েছি।’

বেরেশিট সফলভাবে অবতরণ করলে ইসরায়েল চাঁদে নামা চতুর্থ দেশের স্বীকৃতি পেত।এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সরকার পরিচালিত মহাকাশ গবেষণা সংস্থার যানই কেবল চন্দ্রপৃষ্ঠ সফলভাবে নামতে পেরেছিল।

এই প্রকল্পের প্রধান মরিস কাহন বলেন, ‘আমরা সফল হইনি, তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।’

মরিস আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা যতটুকুই করেছি, তা সত্যিই অসাধারণ। এ জন্য আমরা গর্ব করতে পারি।’

এদিকে তেলআবিবের কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার সফল না হলে আবার চেষ্টা চালান।’

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার ক্যাপ ক্যানাভেরাল থেকে চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে মহাকাশযানটি।

পৃথিবী থেকে রওনা দেয়ার ৭ সপ্তাহ পর মনুষ্যবিহীন ওই যানটির চাঁদে অবতরণের চূড়ান্ত ক্ষণ দেখতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের বাইরেও অনেকে জড়ো হয়েছিলেন। ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের।

“আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে সফলভাবে অবতরণ করতে পারিনি,” বলেছেন ইসরায়েলের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের মহাব্যবস্থাপক অফের ডোরন।

এ অভিযানে মাত্র ১০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে; এটি ব্যক্তিগত অর্থায়নে পরিচালিত প্রথম চন্দ্র অভিযান।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...