পিবিএ, চান্দিনা : কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে খোকন (৪৫) নামে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত খোকন বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। খোকন যুবলীগ নেতা সাধন হত্যায় জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চান্দিনা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন ছয়ঘরিয়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী রোডের পাশে সশস্ত্র ডাকাত দল ডাকাতির জন্য সমাবেত হওয়ার খবর পায় ডিবি পুলিশ।
সমবেত ডাকাতদের মধ্যে চাঞ্চল্যকর মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ নেতা সাধন হত্যা মামলার পলাতক আসামি অংশগ্রহণ করছে বলেও জানতে পারেন তারা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ডিবি ও চান্দিনা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ডাকাতদের গ্রেফতার করতে গেলে সশস্ত্র ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলিবর্ষণ করে।
ডিবি ও চান্দিনা থানা পুলিশের যৌথটিম আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে প্রায় ২৫ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয় এবং ডাকাত দলের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যান্য অস্ত্রধারী ডাকাত দল গুলি বর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। আহত পুলিশ সদস্যদের এবং আহত ডাকাতকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার আহত ডাকাতকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
ঘটনাস্থল হতে একটি দেশিয় তৈরি পাইপগান, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, পাচঁ রাউন্ড ফায়ারকৃত গুলির খোসা, দুইটি রামদা, একটি ছুরি একটা চাপাতি ও একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। অত্র ঘটনায় পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা রুজু পক্রিয়াধীন।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উপজেলার কেরনখাল ইউপির ছয়ঘড়িয়া এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
সেই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ পাল্টাগুলি ছুড়লে খোকন নামের এক ডাকাত নিহত হয় ও ডাকাতদের গুলিতে পুলিশের ২ সদস্য সবুর ও সুমন আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে কুমেক হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।
পিবিএ/জেডআই