পিবিএ, রাজশাহী: সম্প্রতি ১ম শ্রেনীতে উন্নতি হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভা। পৌরবাসির সার্বিক সুযোগসুবিধা এবং অবকাঠামোর উন্নয়নে প্রায় ১৫২ কোটি টাকা প্রস্তবনা আছে। ইউজিআইআইপি-৩ এর প্রায় ৩৪ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। তবে ঠিকাদারের দৌরাত্বে এই কাজে যথাযথ টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে না বলে পৌরবাসীর অভিযোগ।
আর্বান পরিচালনায় অবকাঠামোর উন্নয়ন বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী জেলার মধ্যে চারঘাট পৌরসভায় উন্নয়ন কাজ চলমান। যার লক্ষমাত্রা ১৫২ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে দুটি ফ্রেজের প্রায় ৩৪ কোটি টাকার কাজ শেষের পথে। অপরিকল্পিত, পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট, জলাবদ্ধতা এবং নি¤œ মানের উপকরণ ব্যবহারে চলছে উন্নয়ন কাজ।
চারঘাটে ২১.৮১ কিঃ মিঃ জুড়ে পৌর এলকার উন্নয়নে ২০.৪৯ কিঃমিঃ, ড্রেন ৯. ৮০৪ কিঃমিঃ কাজ প্রায় শেষ। ৪ কোটি ব্যায়ে পানি প্রকল্প, ৩.৯৪ কোটি টাকা ব্যায়ে আর্বজনা প্রকল্প এবং ২.৮৪ কোটি টাকা ব্যায়ে পৌর মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে। কিন্ত ঠিকাদারের দৈরাত্বে টেকসই উন্নয়নে বেশ অনিয়ম আছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন, পৌর আ’লীগ সভাপতি ও ১ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর সাজ্জাত হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার, যুবলীগ সভাপতি মামুন বাস্তহারা লীগ সভাপতি শামিম সরকারসহ বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মী ও সচেতন নাগরীক।
অভিযোগকারীদের তথ্য মতে, পৌর মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল, পৌর প্রকৌশলী রেজাউল করিম, ইউজিআইআইপি-৩ প্রকল্প প্রকৌশলী হুমায়ুন কবিরসহ সংশ্লিষ্ট কাজ পরিদর্শনকারীদের অগচরে কাজের মান নিন্ম মানের কেন হবে? ঠিকদার তাদের অধিক মুনাফার লাভের আশায় ন্মিম মানের উপকরণ ব্যবহার করে পৌর এলাকায় টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে অনিয়ম করছে। যা স্থানীয় পৌরবাসী এবং দেশর সরকারের উন্নয়ন কাজে বড় বাধা। আর্বান প্রকল্পের পরিচালকের নিকট চলামান এবং আগামীতে এই প্রকল্পের কাজের গুনগতমান যাচায় করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন অভিযোগকারীগন। বিশেষ করে ঠিকাদার (এম এম ডাব্লিউ (জেভি) ) প্রঃ ওয়াসীম হক এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সিংহ ভাগ।
এই পৌরসভার ২০১৫ সালে ইউজিআইআইপি-৩ উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। প্রথম ফ্রেজের কাজ করেছেন এসএআর (জেভি) সফুরা রাজশাহী প্রঃ ইমদাদুল হক। চলামান ফ্রেজের কাজ করছে লিটন ট্রের্ডাস ঝিনাইদাহ প্রঃ মিজানুর রহমান, মুক্তা কন্সট্রাকসন কাকরাইল ঢাকা এবং এম এম ডাব্লিউ (জেভি) প্রঃ ওয়াসীম হক। ঠিকাদারের সাথে টেকসই উন্নয়ন কাজের বিষয় কথা বলে জানাযায়, শতভাগ কাজ করছেন এভং কোন ধরণের অনিয়ম নেই তাদের কাজে।
পৌর মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল পিবিএকে বলেন, এই প্রকল্পের কাজে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।এক-দুটি বিচ্ছিন্ন অভিযোগ আসলেও তার প্রতিকার করা হয়। এবিষয়ে পৌর প্রকৌশলী রেজাউল করিম, ইউজিআইআইপি-৩ প্রকল্প প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির সকলেই জেন একসূতাই গাঁথা মালা। নিয়মিত সকল উন্নয়ন কাজের পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোথয়াও অনিয়ম পাওয়া গেলে তা পূনরাই সমাধানের প্রক্রিয়া করা হয়। তবে পৌর জনবল কম থাকায় ঠিকদাররা অনিয়মের চেষ্টা করে। কিন্ত তা শক্তহাতে প্রতিহত করা হয়ে বলে তারা জানান।
পিবিএ/রবি/হক