পিবিএ,ডেস্ক: আজ তেরো রমজানুল মোবারক ১৪৪১ হিজরী। আমাদের মুসলিম উম্মাহ সবাই অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে রোজা পালন করে থাকি। অর্থাৎ যথারীতি পানাহার ও জৈবিক লালসা চরিতার্থ থেকে বিরত থাকি। যা মূলত বৈধ।
কিন্তু সর্বক্ষণের জন্য যা হারাম ও অবৈধ যার পঙ্কীলতা থেকে মুক্তি দান করাই রোজার এই মহান প্রশিক্ষণ তা আমরা মোটেই পরিত্যাগ করতে পারি না। অনেক রোজা রেখে অযথা সময় কাটানোর জন্য অশ্লীল ফিল্ম ও গান-বাজনা, খেলাধুলা ইত্যাদি নিয়ে মগ্ন থাকেন এ প্রকৃতির রোজাদারের সংখ্যা কম নয়।
ফ্রিজ অন করে দিয়ে যদি ফ্রিজের দরজা খুলে দেয়া হয় তাহলে কি ফ্রিজে আর আইস জন্মে তখন ফ্রিজে আর কোনো ঠাণ্ডা বরফ থাকে না, ঠিক তদ্রুপ আমরা নিজেদের মধ্যে রোজার সুইচ অন করে দিয়ে সর্বপ্রকার নাফরমানির দরজা জানালা খুলে বসে আছি।
এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) যে দুজন মহিলার একদিনের রোজা সম্পর্কে বলেছিলেন যে, ওরা হালাল বস্তু বর্জন করে রোজা রেখেছিল বটে কিন্তু হারাম বস্তু দ্বারা যে রোজা ভেঙ্গে ফেলেছে। উল্লেখ্য, উক্ত দুই মহিলা রোজা রেখে গীবত করেছিল। মোটকথা রোজার প্রকৃত ফজিলত ও উপকারিতা পেতে হলে মিথ্যা বলা, গীবত, কু-দৃষ্টি, হারাম উপার্জন, টিভি, ভিডিও গানসহ অডিও ইত্যাদি যাবতীয় গোনাহার কাজ থেকে বিরত থাকা।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন যে, চারটি কাজ রমজান মাসে বেশি করে করবে। দুটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং দুটি কাজ যা পালন না করলে তোমাদের উপায় নেই। প্রথম দুটি কাজ যা দ্বারা আল্লাহকে খুশি করবে। ১. কলিমা তাইয়্যেবা ২. আস্তাগফিরউল্লাহ দ্বিতীয় দুটি কাজ আল্লাহর নিকট বেহেশতের প্রার্থনা করা।
হযরত উসমান (রা.) হতে বর্ণিত নবী করীম (সা.) বলেন যে তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি সর্বশ্রেষ্ট উত্তম যিনি কোরআন শরীফ নিজে শিখেছেন এবং অপরকে আল কোরআনের শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস আর জিকিরের মধ্যে সর্বউত্তম জিকির হলো কোরআন তেলাওয়াত করা। আল্লাহপাক যেন আমাদেরকে সুষ্ঠুভাবে রোজার পূর্ণাঙ্গ হক আদায়সহ রোজা রাখার তৌফিক দান করেন। আমিন ছুম্মা আমিন।
লেখক: মাওলানা এম. এ. করিম ইবনে মছব্বির
পিবিএ/এএম