চার জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুরে ছয়জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজন, নেত্রকোনা ও বাগেরহাটে একজন করে মারা গেছেন। শুক্রবার বিকেলে এসব ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর,
জামালপুর: জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের কলকীহারা গ্রামে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- ওই গ্রামের মফিজল হকের ছেলে হরবাদশা, আব্দুল খালেকের স্ত্রী আকিজা বেগম ও ভাটি কলকহিারা গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান।
বকশীগঞ্জের ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা জানান, বিকেলে নদীতে গোসল করছিলেন হরবাদশা। আর বাড়ির বাইরে কাজ করছিলেন খলিলুর রহমান ও আকিজা বেগম। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনজনই মারা যান। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এছাড়া জেলার মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি ও দেওয়ানগঞ্জে একজন করে মারা গেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ও চরবাগডাঙা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পাঁচরশিয়া গ্রামের রানা আলীর স্ত্রী অ্যানি বেগম ও তার ছেলে নূর মোহাম্মদ। অপরজন একই উপজেলার চরবাগডাঙা ইউনিয়নের বাখর আলী গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে ইয়ামিন আরাফাত।
সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, বিকেলে ঝড়ের মধ্যে বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যান মা-ছেলে। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে তারা মারা যান।
নেত্রকোনা: জেলার পূর্বধলা উপজেলার ধলামুলগাও ইউনিয়নের ভাবানিপুর গ্রামে বজ্রপাতে আশামনি নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন সেলিনা নামে এক নারী।
মৃত আশামনি ওই গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়ে। আহত সেলিনা একই গ্রামের মোতালেবের স্ত্রী।
ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হচ্ছিল। এ সময় বাড়ির পাশে পুকুর পাড় থেকে গরু আনতে যায় আশামনি। একই সঙ্গে পাশের বাড়ির সেলিনা ওই পুকুরে গোসল করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আশামনি নিহত ও সেলিনা আহত হন।
শরণখোলা (বাগেরহাট): জেলার শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুরের বুড়ির মাঠ এলাকায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের নাম মো. আবু বক্কর খান। তিনি রাজাপুর এলাকার কৃষক মো. বাবুল খানের ছেলে। মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বক্কর খানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ইউপি সদস্য মো. রুহুল অমিন।