পিবিএ, ধুনট (বগুড়া): যমুনায় চায়না জাল দিয়ে প্রতিদিনই চলছে ছোট ছোট রুই, কাতলা, আইড়, বাঘাইড় ও চিতল মাছ সহ অন্যান্য মাছ নিধন। ফলে ভবিষ্যতে যমুনায় বড় মাছের সংকটে পড়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা গেছে, যমুনা নদীর বগুড়ার সারিয়াকান্দী, কুতুবপুর, কড়িতলা, ধুনটের গোসাইবাড়ী, ভান্ডারবাড়ী, সিরাজগঞ্জের ঢেকুরিয়া, মেঘাই এর বাজারে ছোট ছোট রুই, কাতলা, আইড়, বাঘাইড়, চিতল সহ অন্যান্য মাছের সমারোহ। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ধারাবর্ষা, কাজলা, হাটশেরপুর, বোহাইল চর, সিরাজগঞ্জ উপজেলার মাঝিরা, শানবান্ধা, মেখলা চর সহ প্রায় সব চরেই এবং যমুনার তীর সংলগ্ন ধুনটের শহড়াবাড়ী, শিমুলবাড়ী, বানিয়াজান এলাকা সহ অন্যান্য চরে চায়না জাল দিয়ে প্রতিদিনই ধরা হচ্ছে এ সব মাছ।
সারিয়াকান্দির আওলাকান্দি চরের আলী আজম জানান, যমুনার চর এবং বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের পাশে এখন বেশীর ভাগ মানুষই চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে। চায়না জালের সামনে কিংবা পিছন থেকে কোন ছোট কিংবা বড় মাছ পাড়ি দিতে গেলেই আটকা পড়বেই। ধুনটের বানিয়াজানের আব্দুল মজিদ জানান, আগের দিনে মুন্সিগঞ্জ থেকে চায়না জাল কিনে আনা হত। এখন জেলা শহর বগুড়া এবং উপজেলায় গোপনে বিক্রি হয় এই সব জালগুলো। চায়না জাল দিয়ে ছোট ছোট রুই কাতলা, বোয়াল, আইড়, বাঘাইর, চিতল সহ অন্যন্য মাছ ধরায় যমুনায় বড় মাছের সংকট দেখা গেছে। আগের মত বড় বড় মাছ আর যমুনায় পাওয়া যায় না।
ধুনটের শিমুলবাড়ী গ্রামের আলী আজগর আলী জানান, ইলিশের মত প্রজনন সময় থেকে কয়েক মাস যমুনায় এসব মাছ ধরা বন্ধ না করলে যমুনায় বড় মাছ সংকট ভবিষ্যতে দেখা দিবে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা মৎস কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ জানান, প্রায় তিন মাস আগে থেকে এ জাল নদীতে দেখা যাচ্ছে। আগে ছিল না। ইতিমধ্যেই অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। লিফলেট বিতরন এবং মাইকিং করা হয়েছে এসব জাল দিয়ে মাছ না ধরার জন্য। আমরা অভিযান অব্যহত রেখেছি। তবে এসব জালগুলো মুন্সীগঞ্জ ও ফরিদপুরের ফ্যাক্টরীতে তৈরী হয় বলে শুনেছেন এই কর্মকর্তা।
তবে এবিষয়ে বগুড়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার আনোয়ারুল কবির বলেন, ছোট মাছ যেন যমুনায় ধরা না হয় এ কারনে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পিবিএ/ইমরান হোসেন ইমন/এসডি