চুরি ও হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি হলেন চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। রবিবার (২৩ জুন) দুপুরে গুলশান থানায় মামলাটি করেন মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা। মামলা নম্বর ১৩/১৬৪।
এই মামলায় ববি হককে দ্বিতীয় আসামি করা হলেও প্রথম আসামি আবুল বাশার যার পুরো নাম মির্জা আবুল বাসার।
মামলা বিবরণিতে বলা হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া সাধারন জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ। ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৩৭৯, ৪২৭, ৫০৬ ধারায় করা মামলাটির তদন্ত করছেন গুলশান থানার সাব ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন।
তার সঙ্গে খবরের কাগজ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম সোমবার (৩০ জুন) খবরের কাগজকে বলেন, ‘দুই পক্ষই দুটি মামলা করেছে। তারা এখন জামিনে আছেন। আজ রাতে আমি তাদেরকে ডেকেছি। দেখি দুই পক্ষকে নিয়ে বসে কোনো সমাধানে আসা যায় কিনা।’
ঘটনার সতত্যা যাচাইয়ের জন্য অভিনেত্রী ববির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। অভিনেত্রীর হোটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠালে তিনি তা দেখেও কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ আছেন। মির্জা আবুল বাসারকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, ববি ও মির্জা আবুল বাসার যৌথভাবে গুলশানের ওয়াই এন সেন্টারে একটি রেষ্টুরেন্ট ক্রয় করেন। ঐ রেষ্টুরেন্টটি নায়িকা তার নামে নামকরন করেন ‘ববস্টার’। এই রেষ্টুরেন্টের আগের মালিককে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল ববি ও বাশারের। প্রথমে ১৫লাখ পরে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেও দুটি চেকই বাউন্স করে। বারবার প্রথম পক্ষের মালিক টাকার জন্য তাগাদা দিলে দ্বন্ধবাধে। প্রথম পক্ষ টাকা চাইলে ববি ও তার পার্টনার আবুল বাসার তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে রেষ্টুরেন্টের প্রথম মালিক আমান উল্লাহ আমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘ববি আর বাশার জোর করে পেশী শক্তি খাটিয়ে রেষ্টুরেন্টটা দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। চুক্তি অনুসারে যে টাকা আমাকে দেওয়ার কথা ছিল সে টাকাও এখন পর্যন্ত পায়নি। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আজ রাতে গুলশান থানায় এ বিষয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর মামলার বাকি অগ্রগতি নিয়ে কথা বলতে পারব।’
আবুল বাসারের সাবেক দুজন স্ত্রীর একজন খবরের কাগজকে জানান, আবুল বাসারের নামে নাটোর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কুমিল্লা, খুলনা, চট্টগ্রাম, ভাটারা, ভোলার বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। ববি এবং বাশার স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে একই বাসায় বসবাস করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে পাওয়া যায় আবুল বাশার বিটিএল গ্রুপ নামে নাম সর্বস্ব একটি গ্রুপের মালিক। এই গ্রুপ থেকে ববিকে নায়িকা করে ‘মাস্টার মাইন্ড’ নামে একটি সিনেমাও করার কথা ছিল এই বাশারের।