পিবিএ,রাজশাহী: রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সন্ধ্যায় তাজুল ফারুক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এ সময় রাজশাহী মহানগরীর উপশহরের বাড়ি থেকে তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পরই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তাজুল ফারুক ১৯৯১ সালে প্রথম রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত একমাত্র সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।
সর্বশেষ একাদশ নির্বাচনে অংশ নিতে এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তাজুল ফারুক। কিন্তু তিনি মনোনয়নপত্র পাননি। নৌকা না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হননি।
পেশায় আইনজীবী তাজুল ফারুক রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তিনি ১৯৬৬ সালে পাবনার ঈশ্বরদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৯৬৮ সালে তিনি রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন। ১৯৬৯ এর দুর্বার গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৪ সালে মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্বে আসেন তাজুল ফারুক। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের দুঃসময়ে কাজ করেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থনের দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারমম্যান নির্বাচিত হন। পরের বছরই নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য। এরই মধ্যে তাজুল ফারুক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা ১৯৯২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পরের বছরই নির্বাচিত হন সভাপতি।
বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার প্রমুখ। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পিবিএ/এফএস