চীনের একটি গোপন গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস

পিবিএ ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চীনের একটি গোপন গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে। যেখানে বিশেষজ্ঞরা বাদুড়ের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। এমন দাবি করেছেন চীনের একদল ভাইরাস বিশেষজ্ঞ। সাউথ চায়না ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির বিজ্ঞানীরা বলেছেন, উহানে অবস্থিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ( ডব্লিউসিডিসি) থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।

তবে এর আগে চীনা সরকার জানিয়েছে, উহানের এক সামুদ্রিক বাজার থেকে এই ভাইরাসের আবির্ভাব হতে পারে।

দেশটির দুই স্কলার বোটাও শিয়াও এবং লি শিয়াও ‘করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য উৎস’ শিরোনামে একটি জার্নাল প্রকাশ করেছেন। সেখানে তারা দাবি করেছেন, গবেষণার জন্য উহানের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে ( ডব্লিউসিডিসি) বিভিন্ন প্রাণী রাখা হত। সেখানে অনেক বাদুড়ও ছিল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেএইচ তিয়ান নামে এক গবেষক বাদুড়ের আক্রমণের শিকার হন। সেসময় বাদুড়ের রক্ত তার স্কিনে (ত্বক) লেগে যায়।

খবরে বলা হয়েছে, গোপন গবেষণাগারটি উহানের ওই সামুদ্রিক বাজার থেকে ২৮০ মিটার দূরে এক ইউনিয়ন হাসপাতালের সংলগ্নে। যেখানে প্রথম একদল চিকিৎসক ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হন।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মারা গেছে আরো ১৪২ জন। এ নিয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬শ ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার চীনের স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, করোনাভাইরাসে নতুন করে আরো দুই হাজার ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

পুরো চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৮ হাজার। এছাড়া চীনের বাইরে প্রায় ৩০টি দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। ফ্রান্স, হংকং, ফিলিপাইন এবং জাপানে চারজন মারা গেছেন।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসকে কোভিড-১৯ (Covid-19) নাম দিয়েছে । এই নামেই এখন এটি পরিচিত পাবে। ডেইলি স্টার ইউকে, বিবিসি, আল জাজিরা।

পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...