চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সাড়ে পাঁচশ ছাড়ালো

পিবিএ ডেস্ক: চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশ ছাড়িয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২৮ হাজার।

দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার আরও ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে, তাতে চীনের মূলভূখণ্ডেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ জনে।

অধিকাংশ মৃত্যু ও নতুন সংক্রমণের ঘটনাই ঘটেছে হুবেই প্রদেশে, যে প্রদেশের উহান শহরকে এ ভাইরাসের ‘উৎসস্থল’ বলা হচ্ছে।

ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে চীনের বেশ কয়েকটি শহর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার লোককে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে।

প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল বলে বিবেচিত হুবেই প্রদেশে ভাইরাসটিতে বুধবার আরও ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ২৯৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত ও নতুন করে আক্রান্তের যে সংখ্যা চীনের কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে তার ৮০ শতাংশেরও বেশি এ প্রদেশটিতে ঘটেছে। দেশটির বাকি মৃত্যুর ঘটনাগুলো উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হেইলংজিয়াংয়ের তিয়ানজিন শহর ও গুইঝৌ প্রদেশে ঘটেছে।

ট্রেন স্টেশন ও বিমানবন্দরের পাশাপাশি রাস্তাগুলোও বন্ধ করে দেয়ায় চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। প্রথমে এই প্রদেশেই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছিল। প্রাদেশিক রাজধানী উহানের একটি সিফুড মার্কেট থেকে ভাইরাসটির উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।

চীনের মূলভূখণ্ডের বাইরে এ পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ফিলিপিন্সে এবং চীন শাসিত হংকংয়ের আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনেই উহান থেকে ঘুরে আসার পর আক্রান্ত হন।

ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত যে ৫৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ৪০০ জনেরই মৃত্যু হয়েছে উহানে।

উহান থেকে কয়েক হাজার বিদেশিকে সরিয়ে নেওয়ার পর তাদের নিজ নিজ দেশে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে ও হংকং বন্দরে দুটি প্রমোদতরীর কয়েক হাজার যাত্রী ও ক্রুকে পর্যবেক্ষণের জন্য জাহাজেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

ইয়োকোহামা বন্দরে পৃথক অবস্থায় রাখা প্রমোদতরীটির আরও ১০ যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে বলে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এদের নিয়ে প্রমোদতরীটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত মাসের শেষ দিকে হংকংয়ের ৮০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রমোদতরীটিতে ভ্রমণ করে যাওয়ার পর তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর থেকে জাহাজটির প্রায় ৩৭০০ আরোহীকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এবং তাদের প্রায় দুই সপ্তাহ পৃথক অবস্থায় পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।

হংকংয়ে নোঙর করা প্রমোদতরীটির তিন জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ৩৬০০ যাত্রী ও ক্রুকে জাহাজেই অবস্থানের নির্দেশ দিয়ে প্রত্যেককে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...