পিবিএ ডেস্ক: বাসা বা দোকান থেকে কিছু খোয়া গেলেই সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ে কাজের লোক কিংবা কর্মচারীর ওপর। প্রমাণ হওয়ার আগেই মেলে গঞ্জনা-মারধর। আর সেই খোয়া যাওয়া জিনিসটা যদি হয় হীরার মতো দামি বস্তু, তাহলে তো কথাই নেই। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনায়। বোরিং রোডের একটি দোকান থেকে চুরি গেছে কয়েকটি হীরার গহনা। এ নিয়ে শুরু হয়ে যায় তুলকালাম কাণ্ড। মালিক পক্ষ এ ঘটনায় কর্মচারীদের অভিযুক্ত করে। তাদের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু তারা বরাবরই চুরির অভিযোগ অস্বীকার করে। শেষ পর্যন্ত মালিক পক্ষ থানায় এফআইআর দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে কর্মচারীদের। কিন্তু তারা পুলিশের কাছেও অভিযোগ অস্বীকার করে। তদন্ত করতে গিয়ে একপর্যায়ে পুলিশ গলদঘর্ম হয়ে যায়।
এবার তারা সাহায্য নেয় প্রযুক্তির। দোকানের ভিডিও পরীক্ষা করে পুলিশ। আর এর মাধ্যমেই খোলে সব রহস্যের জট। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তো সবারই চক্ষু চড়ক গাছ! এ কি! চোর তো কোনো মানুষ নয়, ইঁদুর। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মুখে করে হীরার গহনার প্লাস্টিক প্যাকেট নিয়ে চম্পট দিচ্ছে ইঁদুর। এখন চুরি হওয়া হীরার গহনা পেতে তন্নতন্ন করে খোঁজা হচ্ছে পুরো দোকান। দোকানের ফলস সিলিং থেকে দেয়ালের গর্ত, কিছুই বাদ দিচ্ছে না পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত হীরার গহনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে ওই ইঁদুরের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
ওই গহনার দোকানের কর্তারা জানান, কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকটি দামি হীরার গয়না চুরি যায়। স্বাভাবিকভাবেই দোকানের কর্মচারীদের সন্দেহ করে কর্তৃপক্ষ। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। দোকানের ভেতরে থাকা তিনটি সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। আর এতেই খুলল রহস্যের জট।
পিবিএ/এফএস