পিবিএ, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মেমনগর গ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ মামলায় আসামী টুটুল হোসেন (২৫) কে ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় প্রদান করেন। কারাদন্ডপ্রাপ্ত টুটুল হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ই আগষ্ট সকালে মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রী সবেদা খাতুনকে মুখ বেধে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। এরপর থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর খোঁজ না পাওয়ায় একই বছরের ১২ আগষ্ট তার পিতা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় টুটলকে প্রধান করে ৪ জনকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী টুটুলকে আটক ও অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
পুলিশি তদন্ত শেষে ৪ জন আসামীর মধ্যে দুইজনকে এজাহার নামীয় করে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। মামলার অপর দুই আসামীর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদেরকে অব্যহতি দেয়া হয়। এরপর দীর্ঘ তদন্ত ও স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এ মামলার প্রধান আসামী টুটুল হোসেনকে ১৪ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়।
পিবিএ/টিটি/আরআই