পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা নাস্তিপুর সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে ওমিদুল আলম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে দিকে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সংবাদ পেয়ে নিহত বাংলাদেশি ওমিদুলের মরদেহ ফেরত চেয়ে দুপুরেই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি-বিএসএফ। নিহত ওমিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নান্তিপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া জানান, নান্তিপুর গ্রামের কৃষকরা সকালে সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কৃষি কাজ করতে যান। এ সময় বাংলাদেশি সীমান্ত থেকে প্রায় ১২০ গজ ভেতরে ভারতের বিজয়নগর অংশে ওমিদুলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় বিজিবির স্থানীয় বিওপি ক্যাম্পে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, নিহত বাংলাদেশি ওমিদুলের মরদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নামে দামুড়হুদা থানায় বেশ কয়েকটি মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল ইমাম হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে। সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ২ দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে দুপুরে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত চাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএসএফের কমান্ডার হোমেশ্বর সিং জানিয়েছেন, চোরাচালানীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধে ওমিদুল খুন হতে পারে। ময়না তদন্তের পর নিহতের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
নিহতের বাবা আব্দুল মালেক জানান, রবিবার রাতে বাড়িতেই ছিল ওমিদুল। এরপর একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সে। রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি। ভারতের বিজয়নগর অংশে তার মরহেদ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। তিনি ছেলে হত্যার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
পিবিএ/টিটি/এফএস