চুয়াডাঙ্গার রেলস্টেশন কার্যক্রম বন্ধ

ALOM-DANGA
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন।

পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ১৮৬২ সালে দেশের প্রথম রেলস্টেশনের স্বীকৃতি পেয়েছিল । সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সাথে যৌথ ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আমদানী রপ্তানীর কারণে আলমডাঙ্গার এই রেল স্টেশনটি ব্যাপক ভুমিকার পালন করে আসছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তা প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

স্টেশন সূত্রে জানা যায়, বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্টেশন গুলোর জনবল নিয়োগ না দিয়েই সেই সকল স্টেশনে আলমডাঙ্গায় কর্মরত লোকজন দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে বলে ।

আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহি রেলস্টেশনটি এবার বন্ধ করতে চিঠি দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। চিঠির নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল টিকিট মাস্টারের কার্যক্রম রেখে বাকি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এতে বন্ধ হয়ে গেছে আপ-ডাউনের পাখা ওঠা-নামা। জ্বলছে না আপ-ডাউনের কোনো বাতি। ট্রেন আসা-যাওয়ার তদারকিতে থাকছে না কেউ। তবে কোলকাতা টু ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন ও মালবাহী অবিরাম চলাচলের কারণে সিগন্যালের কোন প্রকার সংকেত না পাওয়ায় ভয়ানক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

আলমডাঙ্গায় দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার মিন্টু মিয়া জানান, গত কয়েক মাস পূর্ব থেকে আলমডাঙ্গা স্টেশন থেকে সকল কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে দেশের বিভিন্ন স্টেশনে দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশের আভাস চলে আসছিলো। যা গত ২৯ শে জানুয়ারি রেলস্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ করতে বিভাগীয় নির্দেশনা ফোনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি । তাছাড়াও আলমডাঙ্গা স্টেশনে বিষয়টি নিয়ে একটি চিঠি এসে পৌঁছেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, শুধু টিকেট মাস্টারের কার্যক্রম চালু থাকবে। ট্রেন আসা-যাওয়ার তদারকিতে কেউ থাকবে না।

স্টেশন মাস্টার আরও জানান, এখানকার সাত জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র স্টেশনে বদলি হয়ে গিয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর থেকেই টিকেট কাউন্টার ছাড়া বন্ধ হয়ে গেছে অন্যান্য কার্যক্রম।
বিষয়টি জানান জন্য, বিভাগীয় রেলকর্মকর্তার নিকট ফোনে জানতে চাইলে তিনি সঠিক কারণ জানাতে পারেননি ।

আলমডাঙ্গা স্টেশনের ট্রেন যাত্রী আব্দুল খালেক মুন্সি বলেন, শনিবার সকাল ৯ টার দিকে চিত্রা একপ্রেস ট্রেন যোগে খুলনা থেকে আলমডাঙ্গায় আসেন। স্টেশনে পৌছানোর মুহুর্তে তারা নিজেদের নিকট থাকা ব্যাগসহ জিনিসপত্র নামানোর পূর্ব মুহুর্তে অতর্কিত ভাবে কোন সংকেত ছাড়াই স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে দেয়। এরই কারণে তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়েছে। ৫৭ বছর বয়সে তার ট্রেন ভ্রমণ চললেও এই রকম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়নি।

এই ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার-১ এমপি সোলায়মান হক জোয়াদ্দার জানান, নতুন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এর সাথে ফোনে কথা বলা হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের কার্যক্রম চলমান রাখতে আশ্বাস দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্টেশনে কর্মকর্তা সংকটের কারণেই আলমডাঙ্গা স্টেশন থেকে প্রত্যাহার করে অন্যত্র স্টেশনে যোগদান করেছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের সকল কার্যক্রম সচল রাখার চেস্টা করছি।

পিবিএ / টিটি /ইএইচকে

আরও পড়ুন...