পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: শিম চাষের জন্য এখন উপযুক্ত সময় নয়। তবুও চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা আগাম সীম চাষ করে শতভাগ সফলতা পেয়েছেন। বাজার দর ভালো থাকায় চাষীরা আগাম সীম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬৫৪ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সবজির আবাদ হয়েছে।
তার মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ২০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৮২০ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ১ হাজার ৩১৪ হেক্টর ও জীবন নগর উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু শীমের আবাদ হয়েছে ৭০৫ হেক্টর জমিতে ।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮২ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১২ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৭১ হেক্টর ও জীবনগর উপজেলায় ১৪০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শীমের আবাদ হয়েছে।
মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অনুকুল পরিবেশ থাকায় জেলার বিভিন্ন মাঠে মাটি থেকে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ ফুট উচু বাঁশের মাচা তৈরী করে আবাদ করা হয়েছে উচ্চ ফলনশীল অটো জাতের শীম।
সদর উপজেলার কুন্দীপুর ইলিয়াস হোসেন জানান, বিগত কয়েক বছর যাবৎ সীম চাষ করছি। এ বছর পৌনে ৩ বিঘা মত জমিতে অটো জাতের সীম আবাদ করা হয়েছে। বিঘা প্রতি জমিতে সীম আবাদ করতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পেলে ১ বিঘা জমিতে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবো।
দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জানান, ৩ বিঘা জমিতে অটো জাতের শীমের আবাদ করা হয়েছে। আশা করছি বিঘা প্রতি এক লাখ টাকার সিম বিক্রি হবে। এরই মধ্যে কয়েক মন সীম বিক্রি করে ফেলেছি। বাজারের পরিস্থিতি ভালো থাকলে ৩ বিঘা জমিতে কমপক্ষে ৩/৪ লাখ টাকার শীম বিক্রি করতে পাররো।
সদর উপজেলার ঠাকুরপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, এই ব্লকে শুধু ৬৫ হেক্টর জমিতে সীম আবাদ হয়েছে। সীম একটা লাভ জনক আবাদ। এখন বাজারে সীম ছাড়া অন্য সবজি না থাকায় তারা বাজারে ভাল দাম পাচ্ছে। শীম কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি রফিকুজ্জামান জানান, জেলার বেশীর ভাগ জমিই সবজি চাষের জন্য খুবই উপোযোগী। চাষীরা সীমসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদ করে থাকেন। এ বছর সীমের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারও সীমের দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বাজার এমন থাকলে সীম চাষীরা বেশ লাভবান হবেন।
পিবিএ/সনজিত কর্মকার/এসডি