চুয়াডাঙ্গায় পাটের ফলন ভাল, দাম নিয়ে হতাশ কৃষকরা

সনজিত কর্মকার,চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার পানির অভাবে প্রতিবছর পাট জাগ দিতে গিয়ে নানা সমস্যার মধ্যে পড়লেও এ বছর আগাম বৃষ্টি হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি চাষিদের। তবে, দাম নিয়ে শঙ্কা জেগেছে চাষিদের মনে।

অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের আবাদ ভালো হলেও দাম নিয়ে রয়েছে সংশয়। সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট কেটে জলাশয়ে জাগ দেওয়া, পাট ছাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত চাষিরা। পাট কেটে নদী, পুকুর, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানোসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

জানা যায়, এ মৌসুমে কৃষকরা চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় ১৬৫৩০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করছেন। গত বছর ১৫২২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল। ১৩০৫ হেক্টর জমিতে বেশি পাটের আবাদ হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ভরে গেছে নদী, খাল-বিল ও ডোবা। পাট জাগ দিতে কোন সমস্য নেই।

প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৮শ টাকা থেকে সাড়ে ৯শ টাকায়। কৃষকরা বলছেন পাটের দাম কম ও পাট চাষে খরচ বেশি হওয়ায় লোকসানের মধ্যে পড়তে হতে পারে। পাটের রঙ ভাল হচ্ছে বেশি পানির কারণে।

কৃষকরা জানান, ফলন ভালো। গাড়ী ভাড়া ও পাট কাটা জনের মজুরী খরচ অনেক বেশী। তবে পানী কোন অভাব নেই। সব মিলিয়ে ১ বিঘা জমিতে ১৫ হাজার টাকা খরচ। কিন্ত হাটে এই বিক্রি করতে হচ্ছে ৮ হাজার টাকায়। দাম নিয়ে পড়তে হচ্ছে শঙ্কা।

জেলা চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী হাসান জানান, পাট চাষের জন্য এ জেলার মাটি খুবই উপযুক্ত। সমস্যা হচ্ছে পাট পচানো নিয়ে। প্রবাহমান পানিতে পাট জাগ দিলে পাটের মান ভালো হয়। আর ভালো পাটের দামও ভালো। তবে এ বছর আগাম বৃষ্টির কারণে পাট জাগ দিতে চাষিদের ভোগান্তি পেতে হচ্ছে না। গত বছর জেলাতে পাট চাষ হয়েছিলো ১৫ হাজার ২২৪ হেক্টর জমি চলতি বছর চাষ হয়েছে ১৬ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে।

পিবিএ/সনজিত কর্মকার/এসডি

আরও পড়ুন...