পিবিএ, চুয়াডাঙ্গা: প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের কথা চিন্তা করে চুয়াডাঙ্গায় তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম হাইব্রিড প্রাকৃৃতিক হিমাগার।
মৌসুমে জেলায় অনেক ফসল উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত ফসল জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন পাইকারী বাজারে বিক্রির জন্য চলে যায়।
তবে, অধিক ফলন হওয়ায় স্থানীয় বাজারে ভাল দাম পান না কৃষক। তাই তো নিরুপায় হয়ে কৃৃষকরা মৌসুমের সময় পঁচনের ভয়ে উৎপাদিত ফসল কম দামে বিক্রি করে।
অনেক সময় সমিতির ঋণের টাকা পরিশোধ করতে এসব কাঁচা পণ্য নামেমাত্র দামেও বিক্রি করতে হয় এই অঞ্চলের কৃৃষকদের। এই কারণে কৃৃষকেরা মৌসুমের সময় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।
মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের কথা চিন্তা করেই তৈরি করা হয়েছে প্রাকৃতিক এই হিমাগার- এমনটাই বলছে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্যে সোলার ই-টেকনোলজি প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গায় ইডকল কোম্পানি দেশের প্রথম এই হাইব্রিড সোলার হিমাগারটি তৈরি করে।
প্রাকৃতিক এই হিমাগারটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সৌর বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক বাতাস। এছাড়া এর গঠন তৈরি করতে সাহায্যে নেওয়া হয়েছে বাঁশ, কাঠ, ইট, বালু ও সিমেন্টের।
প্রাকৃতিক এই হিমাগারটি প্রায় ৩০০ টন ফসল ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বলে জানা গেছে। আসল বিষয় হলো এই হিমাগারটি সম্পূর্ন্ন চালানোর জন্য কোনো রকম কয়লা, গ্যাস বা ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ সংযোগ লাগে না।
এসব বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে এখানে ব্যবহারের করা হচ্ছে সৌরশক্তি। যার ফলে অসহায় প্রান্তিক কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল কম খরচে এই হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
ইডকলের সুপারভাইজার আনারুল হক জানান, সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে এই হিমাগারটি পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রান্তিক কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রাকৃতিক এই হিমাগারটি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে মনে করছেন তিনি।
পিবিএ/এসএ/ইএইচকে