চুয়াডাঙ্গায় শাশুড়ীকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া সিআইডি কনস্টেবল আটক

পিবিএ, চুয়াডাঙ্গা : শাশুড়ীকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া চুয়াডাঙ্গার সিআইডির কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্যকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের ঘোড়ামাড়া ব্রীজের কাছে থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ কনস্টেবল অসীম ভট্টর্চাষ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার।

পুলিশ জানায়, শাশুড়ীকে খুন করার পর থেকেই পালাতক ছিল অসীম। অসীমকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছিল। বুধবার বিকেলে শহরের ঘোড়ামাড়া ব্রীজের কাছে অবৈধ মোটরসাইকেল অভিযান পরিচালনা করছিল ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে আলমডাঙ্গা মুখি এক মোটরসাইকেল চালককে কাগজপত্র চেকিং এর জন্য দাড় করায় ট্রাফিক সার্জন মৃত্যুঞ্জয়। মোটর সাইকল থামাতেই চালক সিআইডি কনস্টেবল অসীম ভট্টচার্যকে চিনে ফেলে পুলিশ। অসীমকে গ্রেফতার করতে গেলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তার পিছু নিয়ে দীর্ঘ সময় পর তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর অসীম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার জানান, অন্যায় যেই করুক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। অসীম বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

উল্লেখ্য আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের মাদ্রাসাপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন অসীম ও তার স্ত্রী ফাল্গুনী। পারিবারিক বিরোধের কারণে নিজেদের মধ্যে প্রতিদিনই বিরোধ তৈরি হতো তাদের। গত শনিবার ভোরে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ফাল্গুনীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন সিআইডি কনস্টেবল অসীম ভট্টচার্য। এ সময় ফাল্গুনীর মা শেফালী অধিকারী ও শ্যালক আনান্দ অধিকারী ছুটে গিয়ে অসীমকে থামানোর চেষ্টা করলে সে এলোপাতাড়ি ভাবে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করেন। এক পর্যায়ে জামাই অসীম ভট্টচার্যার হাতে নৃশংসভাবে খুন হন শাশুড়ী শেফালী অধিকারী । গুরুতর আহত হয়েছেন স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারী। আহত ফাল্গুনী ও আনন্দকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতলে ওই দিনই ভর্তি করা হয়।

পিবিএ/টিটি/হক

আরও পড়ুন...