চোরাই পথে আসছে ভারতীয় গরু; ক্ষতির সম্মুখীন স্থানীয় খামারিরা

পিবিএ. চুয়াডাঙ্গা: ওপারে চাহিদা। এপারে যোগান। মাঝে সীমান্তের ব্যবধান। নিষিদ্ধ। তবু চলে লেনদেন। নানা ভাবে ,নানান কায়দায়। চোরাইপথে আসছে ভারতীয় গরু ও মহিষ ।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে হাত বদলে আসছে ভারতীয় গরু ও মহিষ। প্রশাসনের কড়া নজরদারিত্বেও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধভাবে গরু-মহিষ প্রবেশ। এদিকে, পরিত্যক্ত অবস্থায় চোরই গরু মহিষ উদ্ধার করলেও চোরাকারবারীদের আটক করতে ব্যর্থ হয়েছন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এতে সামনে কোরবানি ঈদ হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় খামারিরা।


অন্যদিকে অবৈধভাবে গরু আনার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি গত তিনদিনে সীমন্তবর্তী দুই গ্রামের ২৫ জনের নামে মামলা করে।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলায় খামারগুলোতে এ বছর যে পরিমাণ গরু ছাগল মজুদ আছে, তা আসন্ন কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রফতানি করা সম্ভব।
দামুড়হুদা সীমান্তের নির্ভরযোগ্য এক মুরুব্বি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, দামুড়হুদার মুন্সিপুর, ঠাকুরপুর, চাকুলীয়া, বাড়াদী সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে এসব গরু ও মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। চোরাকারবারিরা গভীর রাত ও ভোরের দিকে চোরাইপথে সীমান্তবর্তী গ্রামের ভেতরে অথবা মাঠের ভেতরে রাখা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় হাটে নিয়ে বিক্রি করে।
দামুড়হুদা উপজেলার গরু খামারি সাইদুর রহমান পিবিএকে জানান, এবছর তার খামারে ৮টি দেশি জাতের গরু রয়েছে। কোরবানিতে একটু ভালো লাভের আশায় তিনি এখন থেকেই বাড়তি দেখাশোনা করছেন। ভারত থেকে গরু এনে চোরাকারবারিরা যদি স্থানীয় হাটে এসব গরু অল্প দামে বিক্রি করে তাহলে কপাল পুড়বে।
শুধু বড় খামারই নয়, তার মতো অনেকেই আছেন যারা নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন ছোট খামার আকারে। ভারতীয় গরু যদি এভাবে আসতে থাকে তবে মারাত্মক আর্থিক লোকসানে পড়বেন তারা।
দামুড়হুদা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মশিউর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলায় ছোট বড় প্রায় এক হাজার ৪০০ খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রায় ৭ হাজার গরু মজুদ আছে। এরমধ্যে ৬ হাজার গরু কোরবানিযোগ্য। আসন্ন কোরবানিতে চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪ হাজার। যা উপজেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরে রফতানি করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক ইমাম হাসান পিবিএ’কে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের চোরাকারবারিরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন পথে চোরাই গরু-মহিষ নিয়ে বাংলাদেশে প্রেবশ করছে। তবে এ সমস্যা থাকবে না। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চোরাকারবারিদের আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। বাকি যারা আছে তারাও ছাড় পাবে না।

পিবিএ/টিটি/হক

আরও পড়ুন...