চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ করে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণে ফসলি জমি ও বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ ঘটনায় উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের শুয়া মিয়ার বিরুদ্ধে পানি নিস্কাশন করতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জোবায়েরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নোয়াপাড়া গ্রামের ছেলামত উল্লাহর ছেলে শুয়া মিয়া ৩০ পরিবারের বাড়ি বা ফসলি জমির পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ বা পাইপ বসাতে দিচ্ছে না। এতে করে জয়নাল আবেদীন, রাকিবুল হাসান রাকিব, মনু মিয়া, বেলাল ও দুলালসহ পরিবারগুলোর বাড়ি বা ফসলি জমির পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে গেলে শুয়া মিয়া বাড়ির মহিলাদের পাঠিয়ে উল্টো গালিগালাজ করায়। এছাড়া পাশ্ববর্তী শফিকুর রহমান খালাসি মসজিদ সংলগ্ন সরকারি খালের সংযোগস্থলে দেয়াল নির্মাণ করে মাছ চাষ করার কারণে পানি নিস্কাশন বন্ধ রয়েছে। ফলে নোয়াপাড়ায় পানির জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সরেজমিন পরিদর্শন করে এ চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, খালাসি মসজিদ সংলগ্ন খালের সংযোগস্থলে কালভার্টের ভিতরের দেয়াল উঠিয়ে দিলে পানি নিস্কাশনের কোন সমস্যা হবে না।
এ ব্যাপারে শুয়া মিয়া বলেন, ‘উত্তর দিকে একজন খালের সংযোগস্থলে দেয়াল নির্মাণ করে পানি নিস্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। আর আমার জায়গায় এখন পানি নিস্কাশনের জন্য পাইপ বসানোর সুযোগ দিলে পরে তারা ড্রেন নির্মাণ করতে চাইবে। তাই আমার জায়গা দিয়ে কোন কিছুই করা যাবে না’।
এ বিষয়ে রোববার বিকেলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তয়ন কর্মকর্তা মোঃ জোবায়ের বলেন, ‘সরেজমিন তদন্ত শেষে ইউএনও’র নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হবে’।
পিবিএ/মোঃ এমদাদ উল্যাহ/এমএ