পাকিস্তানপন্থি কিছু এনজিও বিশৃঙ্খলা করছে

ছাত্রলীগের কমিটি ভাঙ্গার কোন সিদ্বান্ত হয়নি: কাদের

পিবিএ,ঢাকা: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ থাকতে পারে। তবে গতকালকের মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় কমিটি ভেঙে দেয়ার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া মিলার সাথে বৈঠক বিষয়ে কাদের বলেন, পাকিস্তানপন্থি কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা করার তথ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের বিষয়ে কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কিছু কথা হয়েছে। আমাদের কনসার্ন যেটা- এনজিও নিয়ে যে কথাবার্তা হচ্ছে আমরা কী দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি এবং কাদের নিয়ে বলছি। আমরা কীভাবে কোন এনজিও চিহ্নিত করছি, এসব নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ আছে বলে মনে করি না।

‘আমরা মনে করছি, আমাদের কাছে কিছু ইনফরমেশন আছে, আমরা খতিয়ে দেখছি। ইনফরমেশন সব ট্রু হবে এমন তো কথা নেই। ইনফরমেশনের মধ্যে কিছু প্রো-পাকিস্তানি এনজিও আছে তারা সমস্যা সৃষ্টি করছে, সহিংসতা করছে। সম্প্রতি তারা দোয়া করবে, আল্লার কাছে মোনাজাত করবে- একথা বলে অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশের দিকে গেছে, এসব নিয়ে আমাদের একটা উদ্বেগ আছে সেটা আমরা বলেছি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) বললো আমরা তো এই ইস্যুতে প্রথম থেকেই তোমাদের সঙ্গে আছি, বাংলাদেশ যে পজিটিভলি রেসপন্স করেছে, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বর্ডার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন যে উদারতার সঙ্গে, এটা রেয়ার। অবশ্যই বাংলাদেশ প্রশংসার দাবিদার।

যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাবাসনে চাপ দেবে কিনা- এ বিষয়ে কাদের বলেন, সেটা আমরা বলছি। তাদের সঙ্গে চায়নার ট্রেডওয়্যার চলছে, মিয়ানমারকে হয়তো চাপ প্রয়োগ করবে। আমাদের প্রতিনিধিদল চায়না গেছে। চায়নার মতো বড় শক্তি মিয়ানমার তাদের বন্ধু দেশ, সেক্ষেত্রে মিয়ানমারের উপর চাপটা আরো বেশি করে প্রয়োগ করে। এখানে ১১ লাখ লোক আমাদের ইকোট্যুরিজম অ্যাফেক্ট হচ্ছে। এত বড় বোঝা নিতে পারছি না।

‘তারা প্রতিনিয়তই মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করছে, যাতে তাদের ডিগনিটি ও সেফটি এবং সিটিজেনশিপ নিশ্চিত করে তাদের সিটিজেনকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।’

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...