ছাত্রলীগ নেতা তারেককে হত্যা চেষ্টায় ১০ ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার

পিবিএ,কক্সবাজার: চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহমুদ রুবেলসহ ১০ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গত ২৭ এপ্রিল কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিতকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এসব ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিস্কার করা হয়। একই সাথে বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আকিত হোসেন সজীবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৯মে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল রাত ১১টায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল তার অনুসারীদের নিয়ে জেলা ছাত্রলীগ সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিতকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহত অবস্থায় তারেককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ছাত্রলীগ নেতা তারেককে হত্যা চেষ্টায় ১০ ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার

তার মাথায় ১৯টি সেলাই দেওয়া হয়। তারেককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনাটি ফেইসবুক সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ অবস্থায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গত ২৯ এপ্রিল দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি কক্সবাজারে এসে ঘটনার তদন্ত করে একটি সুপারিশনামা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দেন।

জেলা ছাত্রলীগ নেতা তারেককে হত্যা চেষ্ঠার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ মে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহমুদ রুবেলকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সাথে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাদ্দাম হোসেন মিঠু, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাইফ সোহার্ত, আনোয়ার মাহমুদ ইরফান, নুর মোহাম্মদ কানন, ইয়াছিন আরফাত, ইশাক আহমদ ইয়ামিন, ফয়সাল মাহমুদ, আলফাজ মাহমুদ সাঈদী, সাকলাইন মোহাম্মদ আলিফ, ইউছুপ বিন হোছাইন।

বহিস্কৃত এসব ছাত্রলীগ নেতারা তারেককে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সত্যতাও পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত দল। তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজের ফেইসবুকে আপলোড করেন। পাশাপাশি সদ্য ঘোষিত ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা এবং কক্সবাজার আইন কলেজ শাখা কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করেছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাদ্দাম হোসেন মিঠু বলেন, তারেককে হামলার সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নে উঠে না। একটি মহল তাকে ঈর্শান্তি হয়ে ঘটনায় জড়িত দেখিয়ে বহিস্কার করেছে। তদন্ত দলের কাছে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরেছেন মহলটি। আমি এ হামলার জন্য সুষ্ঠু বিচার চাই।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত দল আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন করারও সুপারিশ করেছেন। বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকিত হোসেন সজীবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এদিকে আহত জেলা ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম রাহিত বলেন, তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা চেষ্টা করেছিলো। আল্লাহর রহমতে আমি বেচে যাই। যেমন কর্ম তেমন ফল পেয়েছে বহিস্কৃতরা। সুষ্ঠু বিচারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে সাধুবাদ জানাই।

পিবিএ/এম/আরআই

আরও পড়ুন...