ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েও জাতীয় পার্টি বৈষম্যের শিকার

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সর্বতোভাবে সমর্থন দিয়ে আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। এ কারণে আমাদের দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে হাজতবাস করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, গত ১ জুলাই ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করলে, আমি ৩ জুলাই সংসদে তখনকার প্রধানমন্ত্রীর সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বক্তৃতা করেছি। বক্তৃতায় আমি বলেছি, ছাত্রদের এই আন্দোলন যৌক্তিক। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থি।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবার আগে রংপুরে গিয়ে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছি আমি। তার মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিয়েছি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সাফল্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি চক্র জাতীয় পার্টিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না।

বৈষম্যবিরোধী ন্যায়বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে অংশ নিয়েও জাতীয় পার্টি ন্যায়বিচার পাচ্ছে না বলে দাবি করেন জিএম কাদের।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা রক্ত দিয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে এর প্রতিবাদ করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েও জাতীয় পার্টি বৈষম্যের শিকার।

জিএম কাদের আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছে জাতীয় পার্টি। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দলই অংশ নিয়েছিল। আবার, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও উপজেলা পরিষদ ও মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগের নির্বাচন ব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার কারণে কাউকে স্বৈরাচারের দোসর বলা উচিত নয়।

আরও পড়ুন...