বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মো. মাসুদ হত্যাসহ ৯ মামলার আসামি কদমতলী ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমিন (৫৮) কে গ্রেফতার করেছে কদমতলী থানা পুলিশ।
রবিবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন রাত ৩টার দিকে কদমতলী থানার মুরাদপুর মাদ্রাসা রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কদমতলী থানা সূত্রের বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান জানান, মো. মাসুদ হত্যার ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের স্ত্রী হেনা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে কদমতলী থানার মেরাজনগরে প্যারাডাইস প্যালেস নামক নির্মাণাধীন ভবনের সামনের সড়কে অনেক ছাত্র-জনতার সাথে বৈষম্যবিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছিল ভিকটিম মো.মাসুদ।
এসময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর আক্রমণ ও এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ভিকটিম মাসুদ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত মাসুদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জুলাই রাতে তিনি মারা যান।
থানা সূত্রের বরাতে তিনি আরও জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার রাতে রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। যাত্রাবাড়ি ও কদমতলী থানায় তার বিরদ্ধে দুটি হত্যা মালাসহ নয়টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।