রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অপ্রত্যাশিত হারে বেড়েছে ছিনতাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে পুঁজি করে ধারালো অস্ত্র হাতে মানুষের সব কিছু লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন ছিনতাইকারীরা। এ ক্ষেত্রে পুলিশি তৎপরতা না থাকায় এবার থানায় গিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিরা মোহাম্মদপুর থানায় যান। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও যোগ দেন।
থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের কার্যক্রমের বিষয়ে আপত্তি জানায় ছাত্র-জনতা। এ সময় তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হকের সঙ্গে কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার পক্ষে তাদের প্রতিনিধিরা এডিসির কাছে মোহাম্মদপুর এলাকার বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি ছিনতাই রোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
দুই পক্ষের আলাপচারিতায় পুলিশি ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরেন এডিসি জিয়াউল হক। বলেন, ‘আমার থানায় জনবল কম আছে, এটা সব সময় থাকে, এখন হয়ত আরও একটু কম আছে, আমার গাড়ি কম আছে। এগুলো কোনো এক্সকিউজ হতে পারে না। আমি যখন এই পোশাকটা (পুলিশের পোশাক) এসেছি, আমার দায়িত্ব হচ্ছে আপনাকে নিরাপত্তা দেয়া। হ্যাঁ, আমি স্বীকার করতেছি, আমি সেক্ষেত্রে ব্যর্থ।’
এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন তেজগাঁও জোনের এই অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার।
ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে বলেও পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে পুলিশ ও ছাত্র-জনতা মিলেমিশে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
এসময় সবকিছু ঠিক করতে পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেধে দেন ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিরা।