পিবিএ, ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলের সামনের রাস্তায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত অারিফ হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের চিকিৎসাধীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। একটু জুতার কারখানার শ্রমিক ছিলো সে। ঘাতকের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাবি’র কার্জন হল ও শহিদুল্লাহ হলের সামনের মাঝামাঝি রাস্তায়য় এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০ টায় তার মৃত্যু হয়।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে আসা তার বড়ভাই আওলাদ হোসেন ও বন্ধু রাসেল হোসেন জানায়, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ গ্রামে। বাবা হেলাল মিয়া প্যারালাইজড রোগী। মা নাসিমা বেগম গৃহিণী। তারা গ্রামে থাকেন। অারিফ ও।তার বড় ভাই আওলাদ থাকতো নাজিমউদ্দিন রোডে। একটি জুতার কারখানায় কাজ করতো তারা ২ ভাই।
তারা জানায়, আজ কারখানা বন্ধ থাকায় ৮/১০ জন বন্ধু মিলে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ক্রিকেট খেলতে গেছিলো। বিকেলে সেখান থেকে শহিদুল্লাহ হলের সামনের রাস্তা দিয়ে ফিরছিলো তারা। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ১০/১২ জন যুবকের মধ্যে একজন অারিফের পায়ে লাথি দেয়। কেনো তাকে লাথি দিয়েছে ও তার প্রতিবাদ করলে ওই যুবকরা তাকে মারধর করে পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর একজন অারিফের বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে। পরে তারা পালিয়ে যায়। তবে ওই যুবকদের পরিচয় জানেনা অারিফের সঙ্গে থাকা কেউ।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিদ করেন। তিনি জানান, ব্যাবস্থা নিতে শাহবাগ থানায় ঘটনাটি জানানো হয়েছে।
পিবিএ/এইচএ/এইচএইচ