পিবিএ,পাইকগাছা,খুলন: খুলনার পাইকগাছায় ছেলেধরা ও বোরকা পার্টির আতংকে শিশুদের ঘরের বাইরে যেতে দিচ্ছেন না পিতা-মাতারা। সর্বত্রই আতংকে ছড়িয়ে পড়েছে। গত দু’দিনে জনগণ পাইকগাছার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অজ্ঞাত ৩জন ব্যক্তিকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বোরকা পরে বেপরোয়া ঘোরা ফেরা করছে বলে জানা গেছে। এ সন্দেহে রোববার রাতে কপিলমুনি থেকে কামরান (৪০) নামে একযুবককে ধরে পুলিশী সোপর্দ করেছে। তার বাড়ী সিলেটে বলে সে জানায়।
সোমবার রাতে গদাইপুর গ্রাম থেকে ৬০ বছরের এক বদ্ধ ও গোপালপুর মানিকতলা থেকে আনুমানিক ৫৫ বছরের আরো এক ব্যক্তিকে ধরে জনগণ পুলিশী দিয়েছে। আটককৃত দু’ব্যক্তি নানা ভঙ্গিময় বলছে। যাতে কিছুই বোঝে না। যে কারণে তাদের চলা ও বলায় সাধারণ জনগণের কাছে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
এমনই আতংকের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন সিলেমানপুর এলাকায় এলাকাবাসী মধ্য বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত এক মহিলাকে গণপিটুনী দিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে, থানাপুলিশের এস,আই নাজমুল হক ও এস,আই মিন্টু মিয়া ঘটনাস্থল থেকে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে অজ্ঞাত ঐ মহিলাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে উপস্থিত অনেকেই বলেন, এলাকাবাসী যে মহিলাকে গণপিটুনী দিয়েছে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। অনেকেই বলছেন, তাকে দেখতে অনেকটাই রোহিঙ্গা নারীদের মত মনে হচ্ছে।
পুলিশের দাবি আটক ৩ ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন।কপিলমুনির আজাদ, গদাইপুরের তরিকুল জানায়, ধৃতরা রোহিঙ্গা হতে পারে। এ সব অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আনা-গোনায় ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের পিতা-মাতারা তাদের কমলমতি শিশুরাপা ঠশালার সহ রাস্তারয় ওঠাবন্ধ করে দিয়েছে।
ওসি এমদাদুল হক শেখ বলেন, ৩ ব্যক্তিকে ছেলে ধরা বোরকা পার্টি সন্দেহে জনগণ ধরে থানায় সোপর্দ করেছে। তারা কোন ও স্বাভাবিক মানুষ না। পাগলও হতে পারে। এলাকায় যা শোনা যাচ্ছে, সবই গুজব, এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। বোরকা পার্টি বলে আমরা এখনও এর কোন অস্তিত্ব¡ খুঁজে পায়নি। এটি নিছক একটি গুজব। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে কপিলমুনি এলাকায় মাইকিং করেছি। আগামীকাল উপজেলার সবখানে মাইকিং করা হবে। আমাদের অনুরোধ কোথাও কোন অস্বাভাবিক কোন কিছু দেখলে সাথে সাথে থানাপুলিশকে খবর দিন। দয়া করে কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না। এটি আমাদের অনুরোধ।
পিবিএ/আইএইচ/হক