পিবিএ,লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়ে গত কয়েক দিন ধরে ‘ছেলে ধরা’ গুজব বিরাজ করছে। এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই এ ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছে পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন।
৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যাদেরকে ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে আটক করা হচ্ছে পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে দেখা যায় তারা কেউ মানসিক রোগী বা কেউ ভিখারী। লক্ষ্মীপুরে কোথাও ‘ছেলে ধরা’র অস্তিত্ব নেই। কিন্তু বিষয়টিকে নিয়ে যেভাবে গুজব ছড়ানো হয়েছে তাতে শিশুদের অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করায় অভিভাবকেরা বেশিমাত্রায় আতঙ্কিত।
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলে ধরা’ খবরটি একটি নিছক গুজব। লক্ষ্মীপুরে কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে- তার কোন সত্যতা নেই। অতি উৎসাহী কিছু লোক কর্তৃক ‘ছেলে ধরা’ গুজবে কয়েকজন মানসিক প্রতিবন্ধী ও ফকিরকে মারধরের ঘটনা দু:খজনক। গুজবে কান না দিয়ে তিনি অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তারপরেও পুলিশ প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে গুজব না ছড়ানোর পরামর্শ দেন। এর আগেও সারাদেশে সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে আবার রোগ মুক্তির আশায় মানুষ বাঁশের পানি খেয়েছে। এক শ্রেণির মানুষ এ ধরনের গুজব সব সময় ছড়িয়ে আসছে। কেউ এধরনের গুজব ছড়ালে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় তিনি লক্ষ্মীপুরে মাত্র ১০৩ টাকায় পুলিশে চাকুরী হয়েছে বলে দাবি করেন। এ দাবির সাথে সংবাদকর্মীরাও একমত পোষণ করেন।
পিবিএ/হক