জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, পুলিশ চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের প্রতিপক্ষ বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. মাসুদ করিম।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও পল্টন থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত আইনানুগ সেবা দিতে পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। এই পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে জনগণের সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের কাছে আপনাদের (নাগরিক) অনেক প্রত্যাশা। আমরা যেন আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারি সেজন্য আমাদের পাশে আপনাদের থাকতে হবে। আপনারা নির্ভয়ে থানায় যাবেন। থানায় গিয়ে মামলা বা জিডি করতে যদি কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে থানার ওসি বা ডিসিকে জানাবেন, তারা ব্যবস্থা নেবে।
যৌক্তিক মামলা বা জিডি নিতে এরই মধ্যে ডিএমপি কমিশনার সব থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মাসুদ করিম আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুনভাবে দেশকে সাজানোর সুযোগ পেয়েছি। পুলিশের কার্যক্রমে কোনো ধরনের ভুল থাকলে আপনারা আমাদের ধরিয়ে দেবেন। পুলিশ জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, পুলিশ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের প্রতিপক্ষ।
এই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, মাদক, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের তথ্য দিয়ে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো। যারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। পুলিশকে নির্ভয়ে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও পল্টন থানা এলাকার নাগরিকরা সিটিটিসি প্রধানের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
পল্টন থানা এলাকার বাসিন্দা মো. সালাউদ্দিন বলেন, পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগে পল্টন এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করা আমাদের সবার দাবি। পুলিশের আইনগত কাজে যে কোনো সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
সভায় উপস্থিত সুশীল কুমার পাল বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এ ধরনের কাজকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরনের মতবিনিময় সভা যেন ধারাবাহিকভাবে চলমান থাকে। আমরা পুলিশকে সাধ্যমতো সহযোগিতা ও যে কোনো প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে চাই।
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলীর সভাপতিত্বে সভায় মতিঝিল বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।