জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলার জরিমানা

 

 

পিবিএ ডেস্ক: আফিম কেলেংকারিতে ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনসন এন্ড জনসনের ৫৭ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওকরাহোমার একটি আদালত।

জরিমানার ওই অঙ্ক জনসন অ্যান্ড জনসনের ধারণার চেয়ে অনেক কম বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ওকলাহোমার অ্যাটর্নি জেনারেল রাজ্যে আসক্তি সঙ্কটের মাত্রা বিবেচনা করে জনসন অ্যান্ড জনসনকে ১৭ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করার আবেদন করেছিলেন এ মামলায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদালতে একই ধরনের অভিযোগে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই হাজার মামলা রয়েছে, যার প্রথম রায়ে জনসন অ্যান্ড জনসনকে জরিমানা করা হল।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার শুনানিতে বলা হয়, আসক্তি সৃষ্টিকারী ওষুধ বা অপিওয়েডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রায় চার লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে কেবল ওকলাহোমাতেই মারা গেছেন অন্তত ছয় হাজার মানুষ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘এই সঙ্কটের ‘হোতা’ হল জনসন অ্যান্ড জনসন, কারণ তাদের বিপণন কৌশল আর চেষ্টার ফলেই চিকিৎসকরা অকাতরে প্রেসক্রিপশনে অপিওয়েড লিখে গেছেন, যা এ আসক্তি সৃষ্টিকারী ওষুধের অতি ব্যবহারে ইন্ধন যুগিয়েছে। ’

সাত সপ্তাহের শুনানি শেষে ক্লিভল্যান্ড কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক থাড মাকম্যান তার রায়ে বলেন, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের ব্যথানাশক ওষুধ ডুরাজেসিক ও নুসিনটা বিক্রির জন্য যে চাতুর্যপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে এবং বিষয়টি যে জনসাধারণের মধ্যে আসক্তি ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে তা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হয়েছে।

জনসন অ্যান্ড জনসনের কাছ থেকে জরিমানার অর্থ আদায় করে তা অপিওয়েড আসক্তদের চিকিৎসায় ব্যবহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।

অবশ্য জনসন অ্যান্ড জনসন বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। তাদের দাবি, ওষুধের প্রচারে তারা যা যা বলেছে, তার সবগুলোরই বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি আছে, কোনো মিথ্যা তথ্য তারা দেয়নি।

‘এই রায় ত্রুটিপূর্ণ। আমাদের ওষুধ বা প্রচারের কারণেই ওকলাহোমার অপিওয়েড সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে- এমন অভিযোগের কোনো প্রমাণ রাষ্ট্রপক্ষ হাজির করতে পারেনি।’

এক বিবৃতিতে জনসন অ্যান্ড জনসন বলেছে, ২০০৮ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ ব্যথানাশক ওষুধ বিক্রি হয়েছে, তার মধ্যে তাদের তৈরি ওষুধের পরিমাণ ১ শতাংশেরও কম।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...