জমজম কূপ সম্পর্কে কিছু রহস্য

পিবিএ ডেস্কঃ জমজম পানির উৎস । বিগত ষাটের দশকে বাদশাহ্ খালেদেও শাসআমলে আধুনিক যন্ত্রপাতির দ্বারা জমজম কুপ পরিস্কার কারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ কাজে তত্বাবধানে নিয়োজিত প্রকৌশলী ইয়াহইয়া কোশকের প্রদত্ত বিবরণ থেকে জানা যায় যে, বড় ধরনের কয়েকটি পাথরের তলদেশ থেকে প্রবল বেগে পানি উৎসারিত হচ্ছে। সব চাইতে বড় পাথরের চাঙ্গটির উপর স্পষ্ট আরবী হরফে ’বি-ইসমিল্লাহ্ কথাটি উৎকলিত রয়েছে। আবদুল মুত্তালিব আলাইহি সালাম’র সময় কুপের গভীরতা ছিল মাত্র ১৪ ফুট। খলিফা মামুনুর রশীদের আমলে পুনরায় তা খনন করা হয়।

জমজম কুপের পানি অনেক রোগ নিরাময় করে। যারা হজ্জ করতে যানা তারা বোতলে ভরে জম জম কুপের পানি নিয়ে আসেন। এত মানুষ খায় তবু পানির ফোটা পরিমান ও শেষ হয় না। এভাবে আল্লাহ তার বান্দার জন্য ঐশীবানী নিদর্শন রেখেছেন।

আসুন জেনে নেয়া যাক, জমজম কূপ সম্পর্কে কিছু রহস্য:

১) আল্লাহ তা’লার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল।

২) ভারী মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনাকালের ন্যায়।

৩) পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি, জন্মায়নি কোন ছত্রাক বা শৈবাল।

৪) সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র ১১ মিনিটেই আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।

৫) এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি, সৃষ্টির পর থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মউসুমে ব্যবহার ক’য়েক গুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।

৬) সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।

৮) এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।

৯) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।

১০) এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...