পৃথিবীর স্বর্গ কাশ্মির। এ স্বর্গে বসবাসকারীদের সঙ্গে মিশলে চমৎকার কিছু ইন্ডিয়ান অপকৌশল লক্ষ্য করা যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের(ঔ্ক)
বড় সড়ক, ছোট সড়ক, মাঝারি সড়ক এমনকি গলিরমুখসহ প্রায় সকল সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনার পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সশস্ত্রবস্থায়। মনে হবে এই যেনো সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হতে চললো।
সৌন্দর্যের পাশে আতঙ্কের এমন গাঁথুনিতে ‘সুখ ও স্বাধীনতা’ বড় বেকায়দায় আছে। সাধারণ মানুষ সাধারণভাবেই আছে। যাঁরা পর্যটকদের সান্নিধ্যে আছে, তারা আছে চাতুর্যময় জীবনে। এমন চাতুর্যতার প্রধান কারণ এই বুঝি সব বন্ধ হয়ে গেলো! আবার বুঝি আয়ের উপায়গুলো নষ্ট হতে চল্লো!
পাহার ও পাহাড়ের বাহিরে সমতলে বসবাসকারীদের মূল উপজীব্য কৃষি ও পর্যটন। কৃষিপণ্য’র অবাধ প্রবাহের গতি বৃদ্ধি পেলে ভূস্বর্গের নামের সার্থকতা অবিচল থাকতে পারে।
জগৎবিখ্যাত সকল মশলা ও ফলের উতকৃষ্ট স্থান কাশ্মির। দুঃখের বিষয় শ্রীনগর এয়ারপোর্টে কোনো ✈ বিমানই পনেরো কেজির বেশি মালামাল বহন করতে দেয়না। কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতাসুলভ এমন আচরণ কাশ্মীরের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পথে ছোট একটি বাঁধা।
সকল সরকারের অবুঝনীতি রহিতকরন হোক। মুক্তি পাক সাধারণ মানুষ। বন্দুকের নল সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারেনা। বন্দুকের নলের এমন কোনো শক্তি নেই, যে শক্তি মানুষকে ভয় দেখিয়ে জয় করে দিবে আগামীর পৃথিবী।
লেখক: এম এ কাদের খান