পিবিএ,নরসিংদী: নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাওয়ালের চর আর্দশ নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে ২০১৯ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় শত ভাগ ফেল। এ অঞ্চলে ভালো কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় জরাজীর্ণ এই বিদ্যালয়ের খাতায় নাম বসাতে হচ্ছে কমলমতি শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়টির (ইআইআইএন-১৩১১২২,উপজেলা কোড-১৬১, জেলা কোড-১৮। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ভাল রেজাল্ট করলেও শতভাগ ফেল এর কারণ জানিয়েছেন বেলাব উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা খুরশিদ আলম (আঙ্গুর মাষ্টার)। তিনি বলেন, নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ননএমপিও লিষ্টে থাকলেও কারো সহযোগিতা না থাকায় অর্থ সংঙ্কটের কারণে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এমপিও ভুক্তি করা হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে আবারও শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন সুলতানা খুকি জানান, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় ২০০৩ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত শিক্ষকরা তেমন কোন বেতন না পাওয়ায় বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা দিতে শিক্ষকদের আগ্রহ কমে গেছে।
এতে দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারী বা কোন ব্যক্তির অনুদান না থাকায় বিদ্যালয়টি আজ জরাজীর্ণ অবস্থায় পতিত হয়েছে।
তিনি আরো জানান,বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত ৩শত শিক্ষার্থী রয়েছে, বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম, চেয়ার টেবিল ও বেঞ্চ না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বসে ক্লাস করতে পারছে না। এছাড়াও শিক্ষকরা তাদের সংসারের বৌ-বাচ্ছা নিয়ে দু-মুঠো ভাত খেতেও পাচ্ছে না। অনেক শিক্ষকরা অন্যত্র চলে যায়। এবার নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এ বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে জেএসসি রেজিষ্ট্রেশন করে ১৭ জন তার মধ্যে ৫ জন পরিক্ষা দেওয়া শুরু করলেও মাঝ পথে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ২ জন বন্ধ করে দেয়। বাকী ৩ জন পরিক্ষার্থী পরিক্ষা দিলেও তারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তিনি শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্তি করার দাবী জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুর রহমান জানান, খুরশিদ আলম (আঙ্গুর মাষ্টার) দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির তদারকি করে আসছে। তবে শিক্ষা অধিদপ্তরে নিম্ন মাধ্যমিক তালিকায় রয়েছে ভাওয়ালের চর আর্দশ নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়টি। এতে কোন রকম সুযোগ সুবিধা নাই। গা-গ্রামে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার জন্য ভাওয়ালের চরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম ধরে রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়টির জরাজীর্ণ অবস্থা দূর করতে অর্থ সহ সঠিক তদারকি দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পিবিএ/খন্দকার শাহিন/এমএসএম