নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে চারটায় উপাচার্যের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড শেখ আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পুলিশের টহল বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এদিকে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়েও কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আইডি কার্ডসহ শিক্ষার্থীদের চলাফেরার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, দুই দফায় মিটিং হয়েছে। এতে সকল হলের প্রভোস্টগণের হলে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, ক্যাম্পাসের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরগণ সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। এসময় তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা হয়েছে এবং সবধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
এদিকে সারাদেশে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদ এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের বটতলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
পরে দুপুর তিনটায় কোটা সংস্কারের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও রাজাকার স্লোগান দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় নেতাকর্মীরা বলেন, যদি কেউ ক্যাম্পাসে নাশকতার সৃষ্টি করে তবে কঠোর ভাবে মোকাবিলা করা হবে। এসময় তাঁরা আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে একটি গোষ্ঠী মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও দেশের স্বাধীনতাকে অবমাননা করছে।