জাতীয় পার্টির তৃণমূল ভাবনায় মহাসচিব পদে এগিয়ে সোহেল রানা

পিবিএ,ঢাকা: জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ঘোষণার পর পরই দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সোহলে রানাকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব চাই উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার নেতাদের পোষ্টার দেখা যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা পিবিএ’র(প্রেস বাংলা এজেন্সি) সাথে এই বিষয়ে কথা হয়েছে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন জেলার নেতাদের সাথে। তাদের কণ্ঠেই উঠে আসে মহাসচিব হিসেবে সোহেল রানার নাম।

ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল রাজি স্বাপন চোধুরী পিবিএকে জানান, জাতীয় পার্টির কাউন্সিলকে ঘিরে বিভিন্ন নেতারা সক্রিয় রয়েছে। তবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির মতো বড় বড় দলগুলোতে সাধারণত শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে যে সিদ্বান্ত নেয়া হয় তাই বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাওয়া পাওয়ার তেমন কোন মূল্য থাকে না। এবারের জাতীয় পার্টির কাউন্সিল কেমন হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে। মহাসচিব পদের প্রার্থীতার বিষয়ে তিনি বলেন, একটি দলে যে কেউই প্রতিদ্বন্ধীতা করতে পারে। মহাসচিব পদে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। বর্তমান মহাসচিব, নায়ক সোহেল রানাসহ একাধিক ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে। তবে সোহেল রানা যেহেতু বাংলাদেশের চলচিচত্রে অনেক নামকরা একজন নায়ক। দেশের সবাই তাকে চেনে তাই তিনি মহাসচিব পদে ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দিনাজপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শফি রুবেলের একটি পোষ্টার চোখে পড়েছে। যেখানে তিনি নায়ক সোহেল রানাকে মহাসচিব হিসেবে দেখতে চাই বলে প্রচার করেছে। পোষ্টারে লেখা আছে, তৃণমূল জাতীয় পার্টি শক্তিশালি করার লক্ষ্যে আপোষহীন সংগ্রামী নেতা চাই। মাসুদ পারভেজ( সোহেল রানা)কে মহাসচিব পদে দেখতে চাই।

গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রেস বাংলা এজেন্সি-পিবিএ’কে সোহেল রানা বর্তমান জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক সঙ্কটসহ আগামী দিনের নানা পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আমার নেতা হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর দলের মধ্যে যে টানাপোড়ন সৃষ্টি হয়েছে তা তৃণমূল কখনো চায়নি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সবসময় চেয়েছেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে। ইতিমধ্যে পার্টির কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা দেয়ার পর দেশের বিভিন্নস্থান থেকে নেতাকর্মীরা আমাকে ফোন করছে পার্টির মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। আমি এখন পর্যন্ত কাউকে না করিনি। যদি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীসহ সবাই চায় আমি এই পদের জন্য যোগ্য একজন, তাহলে তাদের সন্মান রক্ষা করা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলেই আমি মনে করবো। সবাই মিলে যদি আমাকে পছন্দ করে তবে আমি দলের জন্য কাজ করবো। দলকে আরো শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম,ঐক্যবদ্ধ আছি। আমি যে পদেই থাকিনা কেন দলের জন্য সব সময় কাজ করছি করে যাবো।

পিবিএ/বাখ

তৃণমূলের চাপে জাতীয় পার্টির মহাসচিব প্রার্থী সোহেল রানা

আরও পড়ুন...