জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২১৮ কোটি ডলার

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হুন্ডির ব্যবসা চাঙা ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর হুন্ডি কমে এসেছে। আবার ব্যাংকিং চ্যানেলেই এখন ডলারের দাম বেশি মিলছে। যে কারণে এখন কেউ ঝুঁকি নিয়ে ভিন্ন পথে দেশে টাকা পাঠাতে চাইছেন না। আড়াই শতাংশ প্রণোদনা আগেও ছিল, এখনও আছে। তাই পাচার ও হুন্ডি কমায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বেড়েছে রেমিটেন্স।

গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। এর মধ্যে গত ডিসেম্বরে নতুন রেকর্ড করে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। নভেম্বরে প্রবাসী আয় আসে ২২০ কোটি ডলার। এ ছাড়া গত অক্টোবরে ২৩৯ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ও আগস্টে ২২২ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে আসে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১৫ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে।

আরও পড়ুন...