জাবি ছাত্রলীগের তিনকর্মীসহ সাতজনকে বহিষ্কারের সুপারিশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপাচার্য নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড) সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক আলমগীর কবির।

ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলে তালা ভেঙে একটি কক্ষ দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইংরেজি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনুরাগ বাসফোরকে এক বছর, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মোস্তাকিম রহমান এবং ইনস্টিটিউটে অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ৪৯তম ব্যাচের আরমানুল আলমকে ৬ মাসের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী বলে পরিচিত।

এ ছাড়া ২০ মার্চ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেড়াতে আসা বহিরাগত চার কিশোরকে আটকে রেখে ১০ হাজার টাকা ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে ডিসিপ্লিনারি বোর্ড। একই সঙ্গে এই ঘটনা তদন্তে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই তিনি শিক্ষার্থী হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫০ তম ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং এহসানুর রহমান।

এ ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ শিকদার মো. জুলকারনাইনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলের একটি কক্ষে সিগারেট থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই কক্ষের থাকা ছাত্রীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সদস্যসচিব ও প্রক্টর (অস্থায়ী) অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সভায় বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

আরও পড়ুন...